সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে দাঁত ব্রাশ করতে না শেখার কারণে আপনার
শিশু এবং আপনি নিজেও নিজের অজান্তে শিকার
হন দাঁত ও মুখের নানা সমস্যায়।
দাঁতের ক্যারিজ, সংক্রমণ, মাড়ির প্রদাহ বা জিনজিভাইটিস ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় মুখ ও দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার রেখে। এর জন্য মেনে চলতে হবে টুথব্রাশ করার সঠিক নিয়মগুলো।
অন্তত দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দিনে তিনবার হলে আরও ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা কোনোভাবেই ভুলবেন না।
অন্তত দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দিনে তিনবার হলে আরও ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা কোনোভাবেই ভুলবেন না।
রাতে ব্রাশ করার পর আর কিছু খাবেন না। তাড়াহুড়া না করে সময় লাগিয়ে
ব্রাশ করুন। শিশুদের দাঁত ব্রাশে খুব তাড়া থাকে। কমপক্ষে দুই মিনিট বা সম্ভব
হলে তিন মিনিট ধরে ব্রাশ করতে হবে। মুখের ভেতরটা চারভাগে ভাগ
করে নিয়ে প্রতি চতুর্থাংশ কমপক্ষে ৩০
সেকেন্ড ধরে ব্রাশ করুন।
প্রতিটি দাঁত, মাড়ির
ভেতরের অংশ, তালু ও জিহ্বার ওপরও ব্রাশ করুন। যথেষ্ট নরম আঁশের ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। ব্রাশের আকার হবে আপনার মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শিশুদের বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন আকারের ব্রাশ লাগে। এটি লক্ষ রাখুন।
প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।ব্যবহারের পর ব্রাশটি যথাযথভাবে পরিষ্কার করে লম্বা করে কোনো পাত্রে দাঁড়
করিয়ে রাখুন। টুথব্রাশে ঢাকনা ব্যবহার না করলে বা শুইয়ে রাখলে তাতে
জীবাণু জমার সুযোগ থাকে।
শুধু ব্রাশ করলে অনেক সময়
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা ময়লা বা
খাদ্যকণা পরিষ্কার না-ও হতে
পারে। এতে দাঁতে সংক্রমণ হওয়ার ভয়
থেকেই যায়। তাই দাঁত ব্রাশ করার পর ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা দিয়ে দাঁতের
ফাঁকগুলো পরিষ্কার করে নিন।
- ডা. তানজিনা হোসেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন