প্রতিদিন ভোরে ছোট্র এক পিপড়া তার কাজে যোগদান করে এবং
সাথে সাথেই কাজ শুরু করে দেয়।
সে প্রচুর উৎপাদন
করত এবং সে খুবই সুখী ছিল।
সিংহ, যে ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রধান, অবাক হয়ে দেখল পিপড়া
কোন তত্বাবধান ছাড়াই কাজ করছে।
সিংহ ভাবল, তত্বাবধান ছাড়াই যদি পিপড়া এত পরিমাণে উৎপাদন
করতে পারে; তত্বাবধায়ক থাকলে নিশ্চয়ই উৎপাদন
আরো বেশী হত।
তাই তেলাপোকাকে তত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল; তত্বাবধায়ক
হিসেবে যার ছিল ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং সে চৎমকার
প্রতিবেদন লেখায় দক্ষ ছিল।
তেলাপোকা ঘড়িসহ হাজিরা পদ্ধতি চালু করল প্রথমে।
তার অফিস সহকারীও দরকার হল প্রতিবেদন তৈরীতে সহায়তার জন্য এবং……
….সে মাকড়সাকে
নিয়োগ দিল যে তার তথ্য সংরক্ষন করতো এবং ফোনকলগুলো তত্বাবধান করতো।
সিংহ তেলাপোকার প্রতিবেদন দেখে পুলকিত হল
এবং তাকে গ্রাফ আকারে উৎপাদনের হার
এবং প্রবনতা বিশ্লেষন (Trend analysis) দেখাতে নির্দেশ দিল যাতে ওগুলো বোর্ড মিটিংয়ে
উপস্থাপন করা যায়।
একারনে তেলাপোকা একটি নতুন কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার
কিনল এবং...
...মাছিকে আইটি বিভাগের দায়িত্ব দিল।
এদিকে
পিপড়া যে একদা ছিল অত্যন্ত কার্যক্ষম এবং নিশ্চিন্ত, নতুন এই দলিল দস্তাবেজ ও সভার
আধিক্যের প্রতি বিতৃষ্ঞ ছিল যা তার বেশীরভাগ সময় নষ্ট করতো।
সিংহ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, পিপড়ার বিভাগের দায়িত্ব
একজনকে দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
উচ্চিংড়ে (cicada) কে
এই দায়িত্ব দেয়া হল, যার প্রথম কাজ হল তার নিজের অফিসের জন্য একটি নতুন কার্পেট ও ergonomic চেয়ার কেনা।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উচ্চিংড়ের আরো প্রয়োজন হল
একটি কম্পিউটার এবং একজন ব্যক্তিগত সহকারী, যাকে সে তার আগের বিভাগ থেকে নিয়ে আসলো,
Work and Budget Control Strategic Optimisation
Plan তৈরীতে সাহায্য করা জন্য।
মর্যাদাপূর্ণ এবং প্রখ্যাত পরামর্শক পেঁচাকে নিয়োগ দেয়া হল নিরীক্ষা পরিচালনা এবং সমাধানের
সুপারিশ প্রদানের জন্য।
পেঁচা উক্ত বিভাগে তিন মাস সময় ব্যয় করলো এবং কয়েক খন্ডের বিশাল
প্রতিবেদন পেশ করলো যার সারসংক্ষেপ হলঃ
“এই বিভাগে অতিরিক্ত লোকবল আছে…”
কাকে প্রথম বরখাস্ত করল সিংহ?
অবশ্যই পিপড়াকে; কারণ
“তার কাজে প্রেরণার অভাব
ছিল এবং তার মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ছিল”