ভূমিকাঃ
স্বামী একটি গৃহপালিত ও স্ত্রীভক্ত প্রাণী।পুরুষমানুষ বিয়ের মাধ্যমে স্বামীতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে।
এদের সঠিকভাবে পোষ মানালে ঘর ও বাইরের সমস্ত রকম কাজে ব্যবহার করা যায়।
খাদ্যঃ
এরা সর্বভুক প্রাণী হলেও চুমু ও আদর খেতে খুব পছন্দ করে। অনেক ক্ষেত্রে এরা স্ত্রীর সযত্নে তৈরী করা ঢপ ও গল্প সানন্দে ও তৃপ্তি সহকারে খেয়ে হজম করে।
আকৃতিঃ
এদের সাধারণত একটি ভুঁড়ি, শক্ত ঘাড়, দুর্বল মেরুদণ্ড থাকে!
প্রকৃতিঃ
এরা সাধারণতঃ নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও ঝগড়া-ঝাটীতে অ-পটু হয়ে থাকে। বিয়ের আগে এদের স্বভাবে সিংহের বল থাকলেও বিয়ের পর সেই সিংহ দুর্গারূপিণী স্ত্রীর বাহনে পরিনত হয়। এরা পুরনো কথার দিন-ক্ষণ, নাড়ি-নক্ষত্র সেভাবে মনে রাখতে পারেনা বলে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বা বিতর্কে প্রায়শই পরাজিত হয়।
সাধারণত নারিদের প্রতি এদের একটু আধটু দুর্বলতা দেখতে পাওয়া যায়। কোন মহিলার অনুরোধ বা আব্দার এরা সহজে ফেলতে পারে না।
উপকারিতাঃ
স্বামী উপকারী ও ভীষণভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি প্রাণী। এরা ছুটির দিনে সংসারের নানাবিধ কাজ করে থাকে। এছাড়া এরা স্ত্রীকে রূপচর্চাতে সাহায্য করে।
এরা ভ্রমণের সময়ে কুলীরূপ ধারণ করে ভারী ব্যাগ বহন করে, কখনো বা এরা ড্রাইভার রূপ ধারণ করে স্ত্রীকে লং ড্রাইভে নিয়ে যায়।
এদেরকে বিবাহ করে অনেক অতি সাধারণ নারী বিদেশভ্রমণ ও বসবাসের সুযোগ পায়।
কর্মক্ষেত্রে অবসরের পর এদেরকে নাতি-নাতনি প্রতিপালন, ঘর পাহারা, বারবার দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিস কিনে আনা – এই ধরনের গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অপকারিতাঃ
অনেক প্রকার স্বামী অফিসের কাজে অধিকাংশ দিন রাতকরে বাড়ী ফেরে। অনেকে আবার বাড়ীতে অফিসের কাজও নিয়ে আসে। তাই এরা স্ত্রীকে তাদের চাহিদামতো সময় দিতে পারে না। অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে শপিং- এ নিয়ে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। তাদের শাড়ী, গয়না কেনার যথাযথ সঙ্গী হতে পারে না।
উপসংহারঃ
গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে সংসারে স্বামীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও নির্ভর যোগ্য প্রাণী বিরল।
যে আবিষ্কারক স্ত্রী নামক ‘দামি’ পোষমানানোর ‘যন্তর’-টি আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁর কাছে পৃথিবীবাসি চির-কৃতজ্ঞ থাকবে।
সংগৃহিত