বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

প্রসঙ্গ ব্যাংক

আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীদের নায়ক হওয়ার খুব শখ। একারনে তারা প্রায়ই ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কৌশলে হেয় করার চেষ্টা করে। ওদের নায়কোচিত বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে দেখে ব্যবসায়িরা ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের গালি দেয়, সাধারন মানুষ গালি দেয়, মিডিয়া গালি দেয়।

তাদের অভিযোগ অনেক।
ব্যাংক অনেক লাভ করে। (নিশ্চই চুরি করে)
অনেক বেতন দেয়। (নিশ্চই চুরি করে)
অনেক টাকা ব্যয় করে অফিস সাজায়। (নিশ্চই চুরি করে)
কর্মচারী - কর্মকর্তারা বাড়ি - গাড়ি হাঁকায়। (নিশ্চই চুরি করে)
মালিকরা অনেক লভ্যাংশ নেয়। (নিশ্চই চুরি করে)
অনেক বিনিয়োগ করে। (নিশ্চই চুরি করে)

বাস্তবতা হল,
ব্যাংকগুলো শতকরা ৪২.৫০ হারে আয়কর দেয়।
সবগুলো ব্যাংকের আর্থিক বিবরনী নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
ব্যাংকসমুহে তদারককারী তিনধরনের  নিরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে - অভ্যন্তরীন, বাহ্যিক ও বাংলাদেশ ব্যাংক (নিয়মিত ও আকষ্মিক)।
সরকারী ব্যাংকসমুহ সরকারী অন্য যেকোন প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম দূর্নীতিগ্রস্থ। যে দূর্নীতি হয় তা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দূবৃত্বদের প্রত্যক্ষ প্রভাবে হয়।

ব্যাংকগুলো যথাযথ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে কঠোর পরিশ্রম করে নিয়মিতভাবে লাভ করে কর্মীদের উচ্চ পারিশ্রমিক প্রদান করে। সব কোম্পানি উপযুক্ত ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে চাইলেই তা করতে পারে।

ক্রিকেট খেলা...ব্যাংক টাকা দাও।
ফুটবল...ব্যাংক।
হ্যান্ডবল...আবার ব্যাংক।

জাতীয় কোন দূর্যোগ...ব্যাংক কই? টাকা দেয়না ক্যান? টাকা কামাইতে অনেক কষ্ট। কেউ কাউকে এমনি আইসা টাকা দিয়ে যায়না। অর্জন করতে হয়।

কিছু দূর্নীতি নিশ্চয়ই রয়েছে।
বাকি সবাই ঠিক হয়ে গেলে সেটুকুও থাকবেনা।

ব্যাংক যা মন্দ করে তার সব দায় নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর। নায়কগিরী না করে ব্যাংকের যেকোন দূর্নীতির জন্য দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা উচিত। জনগনের উচিত তাদের দায়ী করা। ব্যাংকগুলোকে নয়।