বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

মজার শিক্ষনীয়

বাজ পাখী প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে। অথচ  ৪০ আসতেই ওকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় তার শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে।।।
.
১. থাবা( পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায়।।। শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।।।
.
২. ঠোঁট টা সামনের দিকে মুড়ে যায়।।। ফলে খাবার খুটে বা ছিড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।।।
.
৩. ডানা ভারী হয়ে যায়।। এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়ান সীমিত হয়ে যায়।।।
.
ফলস্বরুপ শিকার খোজা,ধরা ও খাওয়া তিনটেই ধীরে ধীরে মুশকিল হয়ে পড়ে।।। ওর কাছে তিনটে পথ খোলা থাকে।
.
১. আত্নহত্যা
২. শকুনের মত মৃতদেহ খাওয়া
৩. নিজকে পুনরস্থাপিত করা।
.
ও একটা উচু পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।।। সেখানে বাসা বাঁধে।। আর শুরু করে নতূন প্রচেষ্টা।
.
সে প্রথমে তার ঠোঁট টা পাথরে মেরে মেরে ভেঙে ফেলে। এর থেকে যন্ত্রণা আর হয় না।।। একইরকম ভাবে নখ গুলো ভেঙে ফেলে আর অপেক্ষা করে নতূন নখ ও ঠোঁট গজানোর।।।
.
নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালক গুলো ছিড়ে ফেলে।। কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতূন পালকের।। ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতীক্ষার পর সে সব নতূন করে পায়।। পায় আবার সেই লম্বা উড়ান আর ক্ষিপ্রতা।।
.
এরপর সে আরো ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মত শক্তি ও গরিমা নিয়ে।।
.
ইচ্ছা,সক্রিয়তা ও কল্পনা... আমাদের দুর্বল হয়ে পড়ে ৪০ আসতেই।।। অর্ধজীবনেই আমাদের উৎসাহ, আকাঙ্খা,শক্তি কমে যায়।
.
আমাদেরও আলস্য উৎপন্নকারী মানসিকতা ত্যাগ করে,অতীতের ভারাক্রান্ত মন কে সরিয়ে ও জীবনের বিবশতা কে কাটিয়ে ফেলতে হবে বাজের ঠোঁট,ডানা আর থাবার মত।।।
.
১৫০ দিন না হলেও ১মাসও যদি আমরা চেষ্টা করি তাহলে আবার আমরা পাবো নতূন উদ্যম, অভিজ্ঞতা ও অন্তহীন শক্তি।।।
.
নিজেকে কখনোই হারাতে দেবেন না আর হার ও মানবেন না!!!!
[সংগৃহীত]

বিজ্ঞাপনের (অপ)শক্তি

গাছের আম যে খুঁজে সে বোকা, প্লাস্টিকের বোতলেই আম পাওয়া যায় যেখানে। গাছ থেকে খাওয়ার দিন শেষ। সব তৈরী করে এনে দিচ্ছে বলছে।

অথচ ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক না হলে তা ক্যান্সার এর কারন। সেটার দামও অনেক।

আর ফলের রস বলে যা বিক্রি করছে, তা মোটেও ফল নয়। পাল্প, ফুড কালার, ফুড ফ্লেভার, কিছু প্রিজারভেটিভ।

পটেটো চিপসে কোন আলু থাকেনা।

নির্দিষ্ট কোম্পানির ঢেউটিন ব্যবহার না করলে ব ওকার ক অাকার = বোকা।

ক্রিম ব্যবহারে রং ফর্মা হয়। সেটা আবার ইউরোপ, আমেরিকার ক্রিমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জিতেছে দাবি।

আফ্রিকার লোকেরা কি ফর্সা হবে? ফরসা হওয়াটা জরুরী কেন? অথচ ফর্সা মানুষের চামড়ার ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কালো মানুষের তুলনায় বেশী।

কত হাজার পদের ক্রিম যে কিনায়। কোনটা ক্লিনসার, কোনটা চামড়ার উজ্জলতা বাড়ায়, কোনটা মসৃনতা, কোনটা বয়স কমায়, কোনটা অয়লি ভাব দূর করে, কোনটা রোদ থেকে বাঁচায়, কোনটা পুরুষদের জন্য, তাদের ম্যানলি ভাব আনে, ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি

শুরু হয়েছিল একথা বলে, কি সব ছাইপাশ, কয়লা দিয়ে দাঁত মাজেন। অসাস্থ্যকর। আমাদের কোম্পানির টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এখন বলছে টুথপেস্ট এ চারকোল (কয়লা), লবন এসব আছে। কিনুন সুস্থ্য দাঁতের জন্য।

এনার্জি ড্রিংকস না খেলেতো কোন কাজই করা অসম্ভব। কিছু ড্রিংকসের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের ক্ষমতা আবার গবেষনাও প্রমানিত। কে গবেষনা করেছে তা জানানো হয়না। কিছু এনার্জি ড্রিংকস এ সরাসরি এলকোহল মিশানো হয়।

আর শ্যাম্পু ব্যবহার না করে মুখে ঢেলে গিলে ফেললে মনে হয় ফল বেশী। এতসব পুষ্টিকর উপাদান থাকে। অথচ সমাজের যে অংশ শ্যাম্পু ব্যবহার করে তাদেরই চুলে কোন সমস্যা থাকেনা, টাক হয়না।

সাবান যে কত পদের আছে, কত উপকার, তার সীমা নেই।

ওরা এমনভাবে, এমন ভাষায় পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে যে সেই পণ্য ব্যবহার না করলে জীবনই বৃথা।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সাম্প্রদায়িকতা-ওরা এবং আমরা

১. জন্মের পর ব্যাপটাইজ (Baptism = Christening, Naming) করা হয়, বিয়ে চার্চে হয়, মৃত্যুতে চার্চে শোক প্রকাশ করা হয়।

জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ধর্মীয় রীতিতে উদযাপন করা হয়

২. মুদ্রায় "ইন গড উই ট্রাস্ট" লেখা থাকে

৩. রবিবার সাপ্তবাহিক বন্ধ, কারণ চার্চে যাবার দিন

৪. কথায় কথায় ওহ জেসাস, ওহ গড বলা হয়

৫. শুধু বড়দিনে ছুটি, অন্যকোন ধর্মীয় উৎসবে নাই

এসবকে কি সাম্প্রদায়িকতা বলা যায়
নাকি এটাই স্বাভাবিক
ওরা আমাদের কিভাবে গোঁড়া বলে?

Academy এর বাংলা কি?!?!

বাংলা একাডেমী

বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক
এর পরিচর্যাকারী
কিন্তু একাডেমী তো ইংরেজী শব্দ
এর কোন বাংলা নেই!!!
একটা দেশের, ভাষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান অর্ধেক বাংলা আর অর্ধেক ইংরেজী ব্যবহার করে তার নামের ক্ষেত্রে!!!
একে অনেকে বাংলীশ বলেন।