বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বাধীনতা প্রিয় স্বাধীনতা

প্রথম সেমেস্টারে ক্লাসে দুদিন হাত তুলসিলাম। একদিন প্রফেসর বাংলাদেশকে 'ব্যাংলাডেশ' বলায়, আরেকদিন 'দোল দোল দুলুনী' গানের সুরকে একজন 'ইন্ডিয়ান' মিউজিক বলায়। এক পাকিস্তানি প্রফেসর বলেছিলেন, 'তোমরা লাকি যে তোমরা আলাদা হয়ে গেসিলা। আমাদের অবস্থা দেখো। অনেক ভালো আছো তোমরা।' সেন্ট্রাল পার্কে এক বিদেশিনী ছবি তুলে দেওয়ার পর দেশের নাম জানতে চাইসিলো। বাংলাদেশ শুনে জ্যাকেট খুলে দেখালো, 'দেখো, মেইড ইন বাংলাদেশ। খুবি ভালো জ্যাকেটটা।' পাকিস্তানি এক ছাত্র একদিন বলছিল, 'তোমাদের সাথে আবার যুদ্ধ হওয়া দরকার, এইবার সাকিবের জন্য।' তার পাশের জন যোগ করলো, 'মাশরাফিকে বাদ দিলি ক্যান? শালা আমরা এতো বছরে একটা ক্যাপ্টেন জোটাইতে পারি না।'

আমার কাছে এই ছোট্ট অর্জনগুলোই স্বাধীনতা। মাইক্রো-ইকোনমিক্স ক্লাসে প্রফেসর যখন ড. মুহম্মদ ইউনুস এর উদাহরণ দেন, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার ক্লাসে যখন রিপোর্ট লিখতে হয় একমাত্র জাতি হিসেবে রক্ত দিয়ে কেনা ভাষা আন্দোলনের উপরে, কোরিয়ান বান্ধবী যখন বলে আজকে তাদের ন্যাচারাল ক্যালামিটিস ক্লাসে পড়ানো হইসে বাংলাদেশের কথা আর কীভাবে আমরা প্রতিবারেই দুর্যোগের পরও মাথা তুলে দাঁড়াই, সিয়েরা লিওনের নতুন ছাত্রীটা যখন ক্যাফেতে দেখা হলেই বলে 'কেমন আছো, আমি কিন্তু অল্প বাংলা বলতে পারি' বা সুদানের ছাত্রটা যখন অকপটে স্বীকার করে 'তোমাদের সেনাবাহিনী আমাদের আশা, আমাদের বন্ধু', যখন টেলিকম্যুনিকেশনের ভিসিটিং প্রফেসর ফেসবুকের বাস্তব ব্যবহার দেখাতে গিয়ে রানা প্লাজার উদ্ধার কাজের কথা বলেন... আমি স্বাধীনতা দেখি। হ্যাঁ, আমি অনেক সমস্যাও দেখি। কিন্তু সম্ভাবনাগুলো, আশাগুলো, ভালোবাসাগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী। আমি গর্বিত, আমার একটা স্বাধীন দেশ আছে। পড়েছিলাম, পরাধীনতার যন্ত্রণা বিদেশে না গেলে বোঝা যায় না। আমি অসম্ভব আনন্দিত, সেই যন্ত্রণাটা আমাকে পেতে হয় না।

এই শান্তি, এই সম্মান, এই পরিচয়টা দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ প্রিয় বাংলাদেশ।

Copy paste from;

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=992401967464639&id=100000845366161

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ভুল উচ্চারন

ভুল উচ্চারনে ইংরেজী বলার জন্য মুখ ও জিহ্বা গোল করার দরকার কি?

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

তেল শিল্প!!!

A great write up on OIL industry by Sakib Rayhan

চাটুকার/তোষামোদকারী/তেলবাজ

ভুমিকাঃ যুগ যুগ ধরে চাটুকারেরা আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করছে।প্রকৃতপক্ষে তারা কেবল বসবাসই করছে না, বরং সদর্পে টিকে আছে।এদেরকে ভদ্র ভাষায় তোষামোদকারী এবং বহুল প্রচলিত ভাষায় তেলবাজ বলা হয়।

সংজ্ঞাঃ যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বা নিজের অবস্থানে টিকে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে(বস,প্রভাবশালী/ক্ষমতাবান ব্যাক্তি কিংবা যাকে দিয়েই নিজের সুবিধা পাওয়া যাবে)এক নিজস্ব উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে(শারীরিক/মুখের ভাষা)সন্তুষ্ট করে ফেলতে পারে তাদেরকে চাটুকার বলে।

বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীঃ একজন চাটুকার অবশ্যই নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের একাধিক বা সবগুলো গুণাবলী নিজের করে নিতে সমর্থ হবেঃ

১।যাকে তেল মারে তাকে দেখলেই মুখে কৃত্রিম এক ধরনের বিগলিত হাসির উপস্থিতি হবে।এই হাসিটা দেয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব।এমনকি বস যদি পশ্চাদ দেশে লাথিও মারে তাহলেও চাটুকারের সেই ট্রেড মার্ক হাসিটা মুখ থেকে যাবে না।

২। চাটুকার যদি চাকুরীজীবী হয় তাহলে বস পরিবর্তন হলে নতুন বসের সাথে একই তেলবাজী বজায় রাখবে।সুযোগ পেলে এমন এক আচরণ করবে যেন পুরানো বসকে সে কখনও পাত্তাই দেয় নি।

৩। তেল মারার সময় হাত কচলানোটাকে এরা একটা শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে যাবে।দূর থেকে দেখলে মনে হবে হাতে কাঁদা মাটি মেখে কোন এক অপূর্ব ভাস্কর্য তৈরি করছে।

৪। এরা খুব দারুণভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাক্তির মাইন্ড রীড করতে পারে।নিজের ব্যক্তিত্ব, রূপ,লিডারশীপ কোয়ালিটি,পোশাক,জ্ঞান ইত্যাদি যে বিষয়ে বস তেল খেতে পছন্দ করবে সেই ফিল্ড দ্রুত চিহ্নিত করে একজন চাটুকার বসকে তৈলমর্দন শুরু করে দিবে।

৫। চাটুকারদের তেল মারাটা এতটাই শৈল্পিক ও Irresistible  হবে যে কোন কারনে যদি বস বুঝেও যায় যে তাকে তেল মারা হচ্ছে তাতেও সে খুশী হবে।   

৬। একজন চাটুকার অবশ্যই পরনিন্দা ও পরচর্চা কারী।অন্যকে খারাপ ও ছোট করার মাধ্যমেই সে তার নিজের অদক্ষতা ঢাকতে থাকে।

৭।স্থান,কাল ও পাত্র সম্পর্কে ওদের দারুণ জ্ঞান থাকে।কারণ তেল মারা কতটা সার্থক ও কার্যকরী হবে সেটা এগুলোর উপর নির্ভর করে।

৮।এরা হল শৈল্পিক মিথ্যাবাদী।কারণ তেলবাজী ও সত্যবাদিতা একসাথে অবস্থান করতে পারে না।

৯।নির্লজ্জ হওয়া অতি আবশ্যক।আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা কথা বলে তার প্রশংসা করে যাওয়ার জন্য লজ্জা কম থাকতেই হবে।

১০।আত্মসম্মান বোধ না থাকা অপরিহার্য।আত্মসম্মানবোধ থাকলে আর যাই করা সম্ভব হোক না কেন;নিজের ক্ষোভ,ইচ্ছা,রুচি সব কিছু বিসর্জন দিয়ে আরেকজনকে তৈলমর্দন করে যাওয়া সম্ভব হবে না। 

চাটুকারদের টিকে থাকার রহস্যঃ
প্রায় সবাই দেখবেন চাটুকারদেরকে পছন্দ করে না।আর চাটুকারেরা সংখ্যায়ও খুব বেশী না।কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এরা যুগ যুগ ধরে, কালের পর কাল অতি সফলতার সাথে টিকে আছে।এর প্রধান কারণ হচ্ছে অর্থ,ক্ষমতা,স্নেহ এমনকি ভালোবাসা দিয়েও যা আদায় করা যায় না সেটা তেলবাজী করে আদায় করা সম্ভব হয়।বিনে পুজির এই ব্যবসায় সবচেয়ে কম সময়ে বেশী ইনকাম করা সম্ভব।আরেকটা বিষয় হচ্ছে এই তেল মারার শিক্ষা লাভের জন্য কোন বিশেষ পাঠশালা বা পাঠ্য পুস্তকের দরকার পড়ে না;এটা স্ব উদ্ভাবনীয় একটা পদ্ধতি।

সেজন্যই নিজের আত্মসম্মানবোধ ও লজ্জা বিসর্জন দিয়ে অতি সহজেই যে কেউ এই দীক্ষা লাভ করতে পারে।আর চাটুকারদের টিকে থাকার সবচেয়ে প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।চাটুকারেরা চেটে দেয় আর গ্রহীতা তাতে সিক্ত হয়ে শিহরিত হতে থাকে।মুখে আমরা যতই চাটুকারের বিপক্ষে কথা বলি না কেন কোন এক সুদক্ষ চাটুকারের চেটে দেয়ায় আমরা নিজেরাও পুলকিত হতে থাকি,তাই চাটুকারের আধিপত্য থেকেই যায়।

উপসংহারঃ
চাটুকারেরা ছিল,চাটুকারেরা আছে এবং চাটুকারেরা থাকবেও;অন্তত যতদিন আমরা চাটুকার ও তার চাটা গ্রহীতাকে সমানভাবে ঘৃণা না করব।আসুন আমরা সবাই মিলে চাটুকারদের সামাজিকভাবে বর্জন করি।আর যদি না করতে পারি তাহলে আমি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তাদেরকে শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

Racism

Killer speech by Zimbabwe President Robert Mugabe:

"Racism will never end as long as white cars are still using black tyres.
Racism will never end if people still use black to symbolise bad luck and white for peace.

Racism will never end if people still wear white clothes to weddings and black clothes to funerals. Racism will never end as long as those who don't pay their bills are blacklisted not white listed.

Even when playing snooker you haven't won until you've sunk the black ball and the white ball must remain on the table.  

But I don't care, as long as I'm still using white toilet paper to wipe my black ass I'm happy.

Sardar Interview

IAS interview

> Once a Bright and Intelligent young man went for an IAS (Indian Civil Service) interview.

> He was asked -

> Q 1. When did India get Independence?

> He answered -
The efforts started long back; but could succeed in 1947.

> Q 2. Who were the persons, who played important role in this fight for Independence?

> Answer - There are many people, who were involved and contributed in this. If I give a name, it will be injustice to others.

> Q 3. Do you think, Corruption is the greatest enemy of the country?

> Answer - A committee is investigating in this matter. I can give a correct reply to this only after seeing the report.

> The Interview Board was impressed by his original ideas. They asked him to wait outside; but also advised him not to reveal the questions, as they may ask the same questions to other candidates also.

> When the young man went out of the room, Sardar inquired about the questions asked. The young man said that he had promised the interview board not to disclose the questions.

> But, Sardar found a way out. "Tell me the answer you gave." The young man, thought it to be okay, as he was not going back on his words of "not disclosing the QUESTIONS". So he gave him the three answer which Sardar quickly learnt by heart.

> When Sardar went in for interview, this is what happened.

> Q 1. When were you born?

> Sardar:- The efforts started long back, but could succeed in 1947.

> Interviewers got confused...they asked next question.

> Q 2. What is your father's name?

> Sardar :- There are many people, who were involved and contributed in this. If I give a name, it will be injustice to others.

> The board members were shocked at the reply..they said.

> Q 3. Are you mad?

> Sardar :- A committee is investigating in this matter. I can give a correct reply to this only after seeing the report.

Joke

স্ত্রী: এই শোনো, ভাবছি চুলটা ছোট করে কেটে ফেলি। কি বল?
স্বামী: কেটে ফেলো।
স্ত্রী: এত কষ্ট করে বড় করলাম...
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু আজকাল ছোট চুলই তো ফ্যাশন!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: আমার বন্ধুরা বলে যে আমার যে মুখের কাটিং তাতে বড় চুলই মানায়।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু ইচ্ছে তো করে।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ছোট চুলে তো বিনুনি হবে না।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: ভাবছি এক্সপেরিমেন্ট করেই ফেলি, নাকি!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: বাজে করে কেটে দিলে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না। কেটেই দেখি না একবার।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: যদি আমাকে স্যুট না করে তাহলে কিন্তু তুমি দায়ী!
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আসলে ছোট চুল সামলাতে সুবিধা।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ভয় করে, যদি খারাপ লাগে।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না, একবার কেটেই দেখি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: তাহলে কবে যাবে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আমি মায়ের কাছে যাবার কথা বলছি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো!
স্ত্রী: কি সব বলছ আবোল তাবোল। শরীর খারাপ নাকি?
স্বামী: তাহলে কেটো না!

স্বামী এখন পাবনাতে ভর্তি আছে, মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে বলে ওঠে 'তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো! তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো!'

Joke

রোজ প্রাত: ভ্রমনে যান মোদিজী।রাস্তায় রোজ একটা ছোট ছেলের সাথে দেখা হয়।সে সব সময় তাঁকে " নমস্কার চাচা" বলে  শ্রদ্ধা জানায়।তিনি খুশি হয়ে প্রত্যুত্তর দেন।
সম্প্রতি এক সকালে ছেলেটির সাথে দেখা হলে সে একই ভাবে " নমস্কার মামা" বলে শ্রদ্ধা জানালো।
মোদিজী অবাক হয়ে ছেলেটিকে জিগ্গাসা করলেন " কি ব্যাপার এতদিন তুমি আমাকে চাচা বলতে,আজ হঠাৎ মামা কেন? "
স্বপ্রতিভ ছেলেটা বললো " এতিদন বাবা আপনাকে মোদিভাই বলতেন।
পাঁচ শ,হাজার টাকা বাতিল হবার পর থেকে তিনি আপনাকে মোদি শালা বলছেন। নমস্কার মামা।"

Collected

কাল্পনিক গল্প

প্রধানমন্ত্রী যে প্যাচে পড়ে একজন
চোরকে মন্ত্রিসভার সদস্য বানালেন!
ভিন দেশের একটা গল্প বলি। দেশটার
নাম মোজাম্বিক। আফ্রিকার একটি
অনুন্নত দেশ এটি।
একবার মোজাম্বিকের এক চোরকে
সামান্য ম্যানহোলের ঢাকনা চুরির
অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। তখন সে চোর
তার শেষ ইচ্ছা হিসেবে দেশের
প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার
সুযোগ চাইল।
যখন তাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে
আসা হলো তখন সে প্রধানমন্ত্রীর
উদ্দেশ্যে বলল, ‌'স্যার, আপনার সাথে
দেখা করতে চাওয়ার একটাই কারণ তা
হলো, আমার কাছে এমন একটা গাছের
বীজ আছে যে গাছটা মনের সব ইচ্ছা
পূরন করতে পারে। আমি আপনার জন্য এই
গাছটা রোপণ করে দিয়ে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করল,
'তোমার চারা লাগাতে কত দিন
লাগবে?'
চোর উত্তর দিল, 'এইতো স্যার, সাত দিন।'
সাতদিন পর তাকে আবার মন্ত্রিসভায়
হাজির করা হল।
একজন জিজ্ঞেস করল, 'তোমার চারার
কী খবর?'
চোর বলল, 'আসলে জমি তো রেডি
কিন্তু বীজটা পরিপক্ক হতে আরও
তিনদিন লাগবে।'
তিনদিন পর তাকে আবার হাজির করা
হল।
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, 'বীজ
রেডি তো এবার?'
চোর বলল, 'স্যার জমি বীজ সবই রেডি
কিন্তু আমিতো তা রোপণ করতে পারব
না।'
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, 'কেন?'
চোর বলল, 'এটা এমন একজনের হাতে
রোপণ করতে হবে যে কোনদিন চুরি
করেনি। না হলে এটা কার্যকারিতা
হারাবে।'
সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন বীজ
রোপন করতে।
অর্থমন্ত্রী কাচুমাচু হয়ে বললেন, 'স্যার,
সারা দেশের অর্থ নিয়ে আমার কাজ।
এত কাজের মধ্যে দু একটা তো এদিক
সেদিক হতেই পারে।'
এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন
পরিবহনমন্ত্রীকে।
পরিবহনমন্ত্রী কাচুমাচু হয়ে বললেন,
'স্যার, কত কত গাড়ি ঘোড়া আমার
প্রতিনিয়ত অনুমোদন দিতে হয়, এর
মাঝে তো দু একটা এদিক সেদিক হতেই
পারে।'
এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কাচুমাচু হয়ে বললেন,
'স্যার, এতো দেশের সাথে
যোগাযোগ, এতো দেশে যাওয়া আসা,
বাণিজ্য লেনদেন এর মধ্যে তো আমারও
দু একটা এদিক সেদিক হতেই পারে।'
প্রধানমন্ত্রী এরপর যাকেই বলেন সেই
এদিক সেদিকের দোহাই দিয়ে
এড়িয়ে যায়।
হঠাৎ সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ধরলেন,
'স্যার, আপনিই রোপণ করুন না।'
তখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'তোমাদের
তো দায়িত্ব ছোট ছোট, আমি পুরো
দেশ চালাই। আমার কি একটু আধটু এদিক
সেদিক হতে পারে না!'
তখন সবাই চুপ হয়ে গেল। হঠাৎ একজন বলে
উঠলেন, 'তাহলে ম্যাডাম, এই লোক তো
সামান্য একটা ম্যানহোলের ঢাকনা
চোর। একে মৃত্যুদন্ড দেয়া কি ঠিক? একে
ছেড়ে দেয়া হোক।'
আরেকজন বললেন, 'না একে ছেড়ে
দেয়া যাবে না। তাহলে সে বাইরে
গিয়ে সব ফাস করে দেবে।'
সবাই চিন্তায় পড়ে গেল একে নিয়ে
কী করা যায়? তখন একজন বলল, 'স্যার এক
কাজ করুন। একে আমাদের মতোই একটা পদ
দিয়ে আমাদের সাথে সামিল করে
নেন।'
যেই ভাবা সেই কাজ, সেই চোর হয়ে
গেল মোজাম্বিকের মন্ত্রিসভার সদস্য।
এই আরকি!

Collected

প্রেম ও বিয়েঃ কৌতুক!!!

collected from facebook.com

প্রাইভেট চাকুরীতে বসকে খুশি করতে হয়, নতুবা যেকোনো সময় চাকুরী চলে যেতে পারে। এই ভয়ে সবাই নিজ নিজ কাজে খুব মনযোগী হয়।
প্রেমের সম্পর্কটাও হল ঠিক প্রাইভেট চাকুরীর মতই... ঝগড়া হলে একজন আরেকজনকে বিভিন্নভাবে মানানোর চেষ্টা করে, যাতে সম্পর্কটা কোনমতে টিকে থাকে। মেয়ের ওজন এককেজি বাড়লেই দু'বেলা না খেয়ে থাকা শুরু করে, আর ছেলেরা তিনবেলা ফোন দিয়ে খোঁজ নেয় "জানু তুমি খেয়েছ?"
বিয়ের সম্পর্কটা হল সরকারী চাকুরীর মত... চাকুরী চলে যাওয়ার ভয় নেই। আসল রুপ তখনই বেড়িয়ে আসে সবার...
মেয়েরা নিজেদের ফিগারের ব্যাপারে আর সচেতন না থেকে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে সমান হতে থাকে, স্বামীরাও আগের মত রুটিন করে তিনবেলা আই লাভ ইউ বলেনা... ঝগড়া হলে বউ যায় বাপের বাড়ি, স্বামী খায় হোটেলে... এরপরেও চাকুরী টিকেই থাকে...

জীবনের তিন স্তর

বেশিরভাগ মানুষের জীবনে স্তর তিনটিঃ
১. জন্ম
২. হায় জীবনে কি করলাম / পেলাম (আফসোস)
৩. মৃত্যু

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

বাংলাটা ঠিক আসে না!

ছেলে আমার খুব সিরিয়াস কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও
রাইমস বলে
ডিবেট করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব
পজেটিভ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

ইংলিশ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ফাস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ
হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
কী লাভ বলুন বাংলা প
ড়ে?
বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে?
বেঙ্গলি
থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ তাই, তেমন ভালোবাসে না
জানে দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা আবার ভাষা নাকি,নেই কোনও চার্মবেঙ্গলিতে
সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে?
ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক
হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক
বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর
প্লেস এদের পাশে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা যেন কেমন-কেমন,খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে
শুনলে বেশি গা জ্ব
লে যায়,একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে।
কীসের গরব? কীসের আশা?
আর চলে না বাংলা ভাষা
কবে যেন হয়
বেঙ্গলি ডে,ফেব্রুয়ারি মাসে না?
জানেন দাদা, আমার ছেলের,বাংলাটা ঠিক আসে না।

ইংলিশ বেশ বোমবাস্টিং শব্দে ঠাসা দারুণ ভাষা
বেঙ্গলি ইজ ডিসগাস্টিং,ডিসগাস্টিং সর্বনাশা।
এই ভাষাতে দিবানিশি
হয় শুধু ভাই
পি.এন.পি.সি
এই ভাষা তাই হলেও দিশি,সবাই ভালোবাসে না
জানেন দাদা,আমার ছেলের,বাংলাটা ঠিক আসেনা।

বাংলা ভাষা নিয়েই নাকি এংলা-প্যাংলা সবাই মুগ্ধ
বাংলা যাদের মাতৃভাষা,বাংলা যাদের মাতৃদুগ্ধ
মায়ের দুধের বড়ই অভাব
কৌটোর দুধ খাওয়াই স্বভাব
ওই দুধে তেজ-তাকত হয় না,বাংলাও তাই হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,বাংলাটা ঠিক আসেনা।

বিদেশে কী বাংলা চলে? কেউ বোঝে না বাংলা কথা
বাংলা নিয়ে বড়াই করার চেয়েও ভালো নিরবতা।
আজ ইংলিশ বিশ্বভাষা
বাংলা ফিনিশ, নিঃস্ব আশা
বাংলা নিয়ে আজকাল কেউ সুখের স্বর্গে ভাসে না
জানেন দাদা,আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

শেক্সপীয়র,ওয়ার্ডসওয়ার্থ,শেলী বা কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন আয়রন
কাজী নজরুল- রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে,আবেগে-উচছ্বাসে না
জানেন দাদা,আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসেনা।

ভবানীপ্রসাদ মজুমদার