শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

টুরিস্ট

http://m.banglanews24.com/detailnews.php?nid=467835&cid=1075

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সম্পর্কঃ স্ত্রী ও স্বামী

একটা গল্প শোনাই!!এক দেশে ছিল এক খুবই গরিব লোক!!তার থাকার মধ্যে ছিল একটা ভাঙ্গা ঘর!!ধুলো ময়লা মাকড়সার জালে ভরা ঘর টার অবস্থা এমন ছিল যে তা মানুষ বসবাসের অযোগ্য ছিল!!

সেই লোক সারাদিন ভবঘুরের মত ঘুরত!!তার ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করত না!!

তার সাথে দেখা হলো এক সাধুর!!সে তাকে বলল-বাবা আপনি আমাকে একটা বর দিন!!এই জীবন আর আমার ভালো লাগেনা!!

সাধু তাকে খুব সুন্দর একটা ফুলদানি দিয়ে বলল- নে এই ফুলদানি তোর অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে!!

লোকটা ভাবলো,এই সামান্য ফুলদানি কি করে আমার ভাগ্য বদলাবে??তবুও সে অন্ধবিশ্বাসে ফুলদানিটা ঘরে আনলো!!যদি কিছু হয়!!

কিন্তু বিপত্তি ঘটল অন্য জায়গায়!!সেই ফুলদানিটা এত সুন্দর ছিল যে ওটা তার নোংরা ঘরের সাথে খুব বেনামান লাগছিল!!

লোকটা একদিন ঘরের সব মাকড়সার ঝুল গুলো ঝেড়ে ফেলল!!তবুও খুব বেমানান লাগছিল তার ভাঙ্গা চোরা আসবাবের মধ্যে!!তাই সে একদিন খেঁটে খুটে সব আসবাবগুলো ঠিক করলো!!কিন্তু তবুও যেন হলনা!!তারপর একদিন ধুয়ে মুছে ঘরটাকে চকচকে করার পর মনে হলো এবার ফুলদানিটা ঘরের সাথে মানানসই হলো!!

তারপর কি হলো বলেন তো??সেই ঘরটাকে সৌন্দর্য্যটা মেইনটেন করতে সে পরিশ্রম করতে শুরু করলো!!এবং পরিশ্রম করতে করতে সে একদিন বড়লোক হয়ে গেল!!

অনেক লম্বা একটা গল্প বললাম!!কিন্তু আসল কথা কিছুই বলিনি!!এইবার আসল কথা বলি!!

প্রত্যেক পুরুষের জীবনে যে একটা ফুলদানি আছে এইটা তারা অনেকেই জানেনা!!সেই ফুলদানি হলো তার প্রিয়তমা স্ত্রী!!আল্লাহ তায়ালা পুরুষের জীবনে আশির্বাদ হিসেবে এই উপহার পাঠান!!

যেন তাদের বহেমিয়ান জীবনে একটা স্থিরতা আসে!!প্রিয়তমা স্ত্রী ঘরে আসার পরে তার স্বামীর জীবনটা আরো সুন্দর হয় গোছালো হয়!!

বউ নামক সেই মেয়েটার কারণেই তার একজন সাকসেসফুল মানুষ হতে ইচ্ছা করে!!তার কাজ করতে ইচ্ছাকরে,আর্ন করতে ইচ্ছা করে!!পৃথিবীর সব সুখ সাচ্ছন্দ্য দিতে ইচ্ছা করে সেই মেয়েটাকে!!

আরো মজার হলো আল্লাহর এই উপহার শুধু ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়ায় না!!সে হাসে,কাঁদে,ভালবাসে,প্রিয়তম স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়েই এক জীবন সেই ঘরের কোনে কাটিয়ে দেয়!!ধীরে ধীরে সেই চার দেয়ালে একটা স্বর্গ রচিত হয়!!

এটা হচ্ছে নরমাল সিনারিও!!যুগ যুগ ধরে বুদ্ধিমান, বিবেচক,সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষদের সাথে এমনটাই হয়ে এসেছে!!

আর যারা বোকা,সেচ্ছাচারী,অমানবিক তারা সেই ফুলদানিটা এনে অযত্নে অবহেলায় ঘরের কোনে ফেলে রাখে!!সে নোংরা হয়,মলিন হয়,তার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়,তারপর একদিন যথেচ্ছ ব্যবহারে সে ভেঙ্গে যায়!!

ভাঙ্গা কাঁচ আর ভাঙামন দুটোই যেহেতু জোড়া লাগেনা তাই সেই সব পুরুষের সংসারটা আজীবন জোড়াতালি দিয়েই চলে.......

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10205183826105109&id=1529101520

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নারী ও পুরুষ

মানুষ সম্পর্কে উল্টা পাল্টা জিনিস লিখতে লিখতে আমি যে কোনো দিন গণ পিটুনি খেতে পারি!!পুরুষ এবং নারী সমাজ উভয়েই আমার উপর ক্ষিপ্ত!!কেও কেও তো বলতে চায় আমি মহিলাই না,কারো নাকি সন্দেহ হচ্ছে এইটা ফেইক আইডি!!ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!!সত্য বলার এই কি পুরস্কার??সামওয়ান পিলিগ,খিল মেহ.....!!এই গিবন আর আমি রাখতে চাইনা!!

যাক,কত কথাই তো বলসি,আজকে নইলে আরো দুইটা বললাম!!তবে আই প্রমিজ,আজকে স্ত্রী এবং পুং দুইজনের জন্যই লিখব!!আজকের ত্যানার নাম,"সম্পর্ককে মাখনের মত নরম এবংচিপস এর মত ক্রিসপি রাখতে করণীয়"!!
আসেন,প্যাচাই!!

*অনেকেকেই নিজের লাইফ সম্পর্কে কমপ্লেইন করতে শুনা যায়- "আমার কোনো ব্রিদিং স্পেস নাই!!আই ফিল সাফোকেটেড"!!ঘটনা কিন্তু সত্য,আপনি ২৪ ঘন্টা কারো সাথে সুপার গ্লু দিয়ে চিপকায় থাকতে চাইলে,সে খুব দ্রুতই বোর হয়ে যাবে!!তাকে তার নিজের মত থাকার টাইম দেন!!ভালোবাসলে মুক্ত করে রাখতে হয়,সারাক্ষণ বেঁধে রাখলে সেইটা হয় জেইল খানা !!!

*মনে রাখবেন ইনিশিয়াল যে এট্রাকশন সেইটা এক সময় কিছুটা ফেইড  হবেই!!কিন্তু সেগুলা নিয়া কম্প্লেইনিং কোনো কাজের কথা না!!সে আজকে ফোন করে জিগ্গেস করে নাই যে- বেবি,দুপুরে কি দিয়ে ভাত খাইসো??তারমানেই সে আপনাকে আর কেয়ার করে না,এইটা ঠিক না!!ম্যাক্সিমাম প্রেমে এইসব তুচ্ছ এলিগেশন নিয়ে বিরাট মনোমালিন্য হয়!!

*কোনো মানুষই পুরাপুরি আরেকজনের হয় না!!সে সে বলেই তো আপনি তারে ভালবাসেন!!সে আপনার সম্পদ,কিন্তু সম্পত্তি না!!ততটুকুই পজেসিভ হন যতটা অপরপক্ষ এনজয় করে!!ভালবাসার চাপে যেন সে দম বন্ধ হয়ে মারা না যায়!!খিয়াল কইরা!!অকা??

*কখনই তাকে পরিবর্তন করতে যাবেন না!!তুমি এরকম কেন,ওটা করনা কেন??এভাবে কথা বল কেন??এগুলা তার কনফিডেন্স নষ্ট করবে এবং ইনসিকিউর ফিলিং দিবে!!তাকে কনফিডেন্স দেন,তুমি যেরকম সেরকমই আমার ভালো লাগে!!যদি সত্যি নোটিসেবল কিছু থাকে চেঞ্জ করার মত সেইটা কমপ্লেইনের সুরে না বলে আবদার করে বলেন!!কাজ হবে!!

*একাউন্টেবিলিটি বজায় রাখেন!!দুইজনেই দুইজনের কাছে ক্লিয়ার থাকেন!!ব্যক্তি স্বাধীনতা মানেই সেচ্ছাচারিতা না!!ভিতরে ভিতরে কোনো বাস্প জমে থাকলে আজকেই রিলিজ করে দেন নইলে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে!!

*প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার নিজের পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভালবাসার জায়গা!!যাকে ভালবাসেন,তার পরিবারকেও ভালবাসার চেষ্টা করেন,তার ফাইনান্সিয়াল কন্ডিশন কে হাসিমুখে এক্সেপ্ট করেন!!দেখবেন সে আপনার উপর পুরা লাট্টু হয়ে থাকবে!!

*ডোন্ট এক্সপেক্ট টু মাচ,রাদার ট্রাই টু গিভ ইউর বেস্ট!!যেটা আরেকজনের কাছে চান,সেইটা নিজে করে দেখান!!খালি আশা কইরেন না সেই সারাক্ষণ লুতু পুতু  করবে!!ভালবাসা,আহ্লাদ,আবদার এ দুইজনের সমঅধিকার নিশ্চিত করেন!!

*সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- দুইজন প্রচন্ড ভালো মানুষ যে কাপল হিসেবে খুব ভালো হবে এইটা জরুরি না!!ইটস অল এবাউট দ্য কেমিস্ট্রি ইউ মেইক টুগেদার!!কেমিস্ট্রি যখন আর থাকে না,তখন অনেকেই খালি ফিজিক্সের উপরেই রিলেশন রান করতে চায়!!এইটা বিরাট বড় বোকামি!!এইরকম হইলে বোঝা পড়ার মাধ্যমে টাটা বাই বাই বলে দেয়াই ভালো!!

সবশেষে একটি উক্তি(কার জানি না)!!যাকে ভালোবাসো,তাকে মুক্ত করে দাও!!যদি সে ফিরে আসে,তাহলে সে তোমার!!আর যদি ফিরে না আসে তাহলে,সে কখনই তোমার ছিল না!!সো গাইজ,পিলিগ রিমেম্বার,জোর করে জমি দখল করা যায়, মানুষের মন না!!মনএর দখল নিতে লাগে নিস্বার্থ ভালবাসা(হোয়াট ইজ,সত্যিকারের লাভ)!!

বি:দ্র:-১ দুই বছরের পুরোনো কিন্তু উপকারী পোস্ট তাই আবার দিলাম...

বি:দ্র:-২ তিন দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে কাহিল হয়ে বিছানায় পরে কু কু করতেসি,সেই খবর তো তো কেও জানে না,জনগণ খালি নতুন পোস্ট চায়!!এই গিবন দিয়ে কি করাম......??

উৎসঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10205153508427186&id=1529101520

মুকেশ আম্বানি

বছরে ১০০ কোটি আয় করে এমন ধনী স্বামী চান এক সুন্দরী তরুণী। তাই একটি অনলাইন ফোরামে নিজের চাহিদা লিখে পাত্র চাই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পূজা চৌহান নামে বছর পঁচিশের ঐ যুবতী। আর ঐ যুবতীর পোস্টটি পড়ে উত্তর দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন ভারতের মুকেশ আম্বানি। ছোট্ট ওই পোস্টেই মুকেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

পূজা চৌহান লিখছেন,
আমি এই বছর ২৫ বছরে পা দেব। খুবই সুন্দরী। স্টাইলিশ, রুচিশীল। আমি এমন একজন স্বামী চাই, যার বার্ষিক বেতন হবে ১০০ কোটি বা তার বেশি। আপনি হয়তো বলবেন, আমি একটু বেশিই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু বর্তমানে বার্ষিক ২ কোটি টাকা বেতনে একেবারেই মধ্যবিত্তের মতো জীবনযাপন করতে হয়। সেদিক থেকে আমার চাহিদা একেবারেই বেশি নয়। এই ফোরামে এমন কেউ আছেন, যার বার্ষিক বেতন ১০০ কোটি টাকা? তারা কি সবাই বিবাহিত?

কেন আপনাকে আমি বিয়ে করব? এখনও পর্যন্ত আমি যতগুলো ডেটে গিয়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতনের পুরুষটির বেতন ছিল বার্ষিক ৫০ কোটি টাকা। অতএব আমি ৫০ কোটি টাকার পর থেকেই ভাবছি। তার কারণ কেউ যদি নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় বসবাস করেন, তাহলে বার্ষিক ৫০ কোটি টাকা বেতন একেবারেই যথেষ্ট নয়। আমি কিছু প্রশ্ন করছি।

কেন সব ধনী ব্যক্তিদের স্ত্রীকে দেখতে মোটামুটি হয়? আমার কিছু বান্ধবী আছে, তারা দেখতে খুব একটা ভালো নয়, কিন্তু তাদের বিয়ে হয়েছে ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে। ধনী ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, আপনি কী দেখে সিদ্ধান্ত নেন, যে এই মহিলা আমার স্ত্রী হবেন, আর ইনি গার্লফ্রেন্ড?

ওই ফোরামটিতে বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানিও রয়েছেন। তিনি পোস্টটি দেখে উত্তর দেন।

মুকেশ আম্বানির বুদ্ধিদীপ্ত সেই উত্তরটি হল-

প্রিয় পূজা,
আমি আপনার পোস্টটি খুব মন দিয়ে পড়েছি এবং দেখলাম, আরও বহু মেয়ের আপনার মতোই প্রশ্ন রয়েছে। দয়া করে একজন পেশাদার লগ্নিকারী হিসেবে আপনার প্রশ্নগুলিকে একটু বিশ্লেষণ করতে দিন।

আমার বার্ষিক আয় ১০০ কোটি টাকার বেশি। আপনার চাহিদা মতোই। কিন্তু একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, আপনাকে বিয়ে করা খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত হবে। খুব সহজ উত্তর। দেখুন, আপনি চাইছেন, সৌন্দর্য ও টাকার বিনিময়। অর্থাত্‍‌, আপনাকে বিয়ে করলে একজন সুন্দরী স্ত্রী পাওয়া যাবে। তার বদলে আপনি হবেন ধনী। কিন্তু সমস্যা হল, আপনার এই যৌবন ও সৌন্দর্য একসময় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার টাকা শেষ হবে না। বস্তুত, প্রতি বছর আমার আয় বাড়বে। কিন্তু প্রতি বছরই আপনি আরও সুন্দরী হয়ে উঠবেন না।

অতএব অর্থশাস্ত্রের নিরিখে, আমি একজন অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাসেট। আর আপনি ডেপ্রিসিয়েশন অ্যাসেট। অর্থাত্‍‌ আপনার যৌবন ও রূপই যদি আপনার সম্পত্তি হয়ে থাকে, তাহলে ১০ বছর পর আপনার সম্পত্তি অনেকটাই কমে যাচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিটে একটি প্রবাদ আছে, প্রত্যেক ট্রেডিংয়ের একটি পজিশন থাকে। আপনার সঙ্গে ডেটিং-ও একটা ট্রেডিং পজিশন। যদি ট্রেড ভ্যালু কমে যায়, তাহলে তা আমরা বিক্রি করে দিই। খামোখা দীর্ঘমেয়াদী ফেলে রেখে লাভ নেই। একই ভাবে আপনাকে বিয়ে করলেও তাই হবে। শুনতে খুব খারাপ লাগলেও সত্যি, যে কোনও সম্পত্তি, যার ডেপ্রিসিয়েশন ভ্যালু বেশি, তা বিক্রি করে দেওয়া বা লিজ দেওয়াই লাভজনক।

যে ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১০০ কোটি টাকা, সে নিশ্চয়ই বোকা নয়। ব্যবসায়ী দৃষ্টিভঙ্গিতে আপনার সঙ্গে ডেট করাই যায়, কিন্তু বিয়ে করা যায় না। অতএব কোনও ধনীকে বিয়ে করার স্বপ্ন আপনার না দেখাই বুদ্ধিমানের। বরং নিজে ১০০ কোটি আয় করার চেষ্টা করুন। কোনও ধনীকে বোকা বানানোর চেয়ে ভালো হবে। আশা করি এই উত্তরটি আপনাকে ভাবতে সাহায্য করবে।

টমাস আলভা এডিসন

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

যোগ্য পাত্র/পাত্রী (সংগৃহীত)

যা দেখলাম পাত্র বা পাত্রী পক্ষের রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহরে বিয়া করতে কিছু স্টান্ডার্ড ‘যোগ্যতা’ থাকা জুরুরী।
.
.
কর্মের স্টান্ডার্ডঃ
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের মার্কেট সব সময় হট। সরকারী জবে ফার্স্টক্লাস অফিসার হতে হবে। প্রাইভেট জবের মধ্যে ব্যাংকার বা মোবাইল কোম্পানীকে গনায় ধরা হয়, বাকি গুলা কোন জবের ভিত্রে পড়ে না।
.
প্রবাস বলতে ইউরোপ আম্রিকা অস্ট্রেলিয়া.. মিডিলিস্ট গনার বাহিরে :3

আর ব্যাবসার ক্ষেত্রে ‘বিজনেস ম্যান’ হতে হবে মানে ইন্ডাস্ট্রি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাবসায়ী হতে হবে। এর বাহিরে নিজে নিজে যা কইরা যত টাকাই কামান আপনে ‘দোকানদার’। বিয়ার মার্কেটে ‘দোকানদারী’ কোন কর্মের ভিত্রে পড়ে না :3
.
মেয়ে কি করে এইটা নরমালী জিগানো হয় না। কিছু করলে খারাপ না, আর না করলে শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
.
.
পড়াশুনার স্টান্ডার্ডঃ
অবশ্যই ঢাকা ভার্সিটি। এর বাহিরে কনে পক্ষের দয়া হইলে অন্যান্য পাব্লিক ভার্সিটি এলাও করলেও করতে পারে। প্রাইভেটের মধ্যে খুব বেশি হইলে NSU, AIUB, IUB, ব্রাক এদ্দুর পর্যন্ত পড়াশুনা জায়েজ আছে। (সাইন্সের ডিমান্ড সব সময় বেশি তাই আলাদা ভাবে কইলাম না)
বাকি অন্য যেখান থেকেই পড়েন বিয়ার বাজারে আপনে অশিক্ষিত। আর জাতীয় ভার্সিটিতে কেউ পইড়া থাকলে ভূলেও কইতে যাইয়েন না, গুষ্টির শিক্ষার স্টান্ডার্ড লইয়া টান খাইবেন :3
.
ফ্যামেলি স্টাটাসঃ
পাত্র-পাত্রীর পরিবারে বাপ-মা-ভাই-বোন-মামা-চাচাদের একেক জনেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মেজর, প্রফেসার, ব্যাংকার, সচিব হতে হবে। তা না হলে আপনি ক্লাসলেস ফ্যামেলির।
.
সম্পত্তির স্টান্ডার্ডঃ
ঢাকায় অবশ্যই বাড়ী থাকতে হবে। আর গাড়ী থাকাটা খুব বেশি ইম্পর্টেন্ট না, তবে থাকলে অন্যদের চেয়ে রেসে আপনি আগায় থাকবেন।
ভাড়াটিয়া পোলাপাইনেগো বিয়ার নাম লইতে নাই :3
.
কাবিন স্টান্ডার্ডঃ
বর্তমানে কাবিনের স্টান্ডার্ড রেট ১০-১৫ লাখ!! এর নিচে হইলে ইজ্জত থাকে না।
পাত্রী পক্ষের ময় মুরুব্বি যেমনে ’১০-১৫ লাখের নিচে মাইয়া দিমুই’ না কইয়া খুটি গাইড়া বইসা থাকে মাঝে মধ্যে কনফিউসড হইয়া যাই ওয় কি মাইয়ায় বিয়া দিতে চায় না লাখ টাকা বিনিময়ে মাইয়া লিজ দিতে চায়!!??
.
চেহারা ছুরত স্টান্ডার্ডঃ
মেয়েদের ক্ষেত্রে মেকাপ দিয়া হইলেও তাকে অবশ্যই ফর্সাআআআআআআআ সুন্দ্রী হতে হবে। শ্যামলা বা কালা মাইয়াগো বিয়ার বাজারে পাড়া দেয়া নাজায়েজ :3
.
ছেলেদের ক্ষেত্রে চেহারা ছুরত ভালো হইতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নাই। পাত্রের চেহারা না টাকায় কথা কয়। উপরের রিকোয়ার্মেন্ট ফুলফিল করতে পারলে ভস্কাইন্না চেহারাও নূরানী দৃষ্টিতে দেখা হয়।
.
.
স্বভাব চরিত্র স্টান্ডার্ডঃ
নরমালী ছেলে যত হারামী হোক মেয়েকে পরহেজগার, নামাজী, পর্দানশীল হতে হবে। আর ছেলে যদি উপরের রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করে তাহলে সে যত বড় টাউডিই হোক তাকে ‘সোনার টুকরা’ ছেলে হিসাবে গণ্য করা হবে। :3
.
পছন্দ স্টান্ডার্ড:
যেহেতু লাভ মেরিজের ট্রেন্ড চলতেছে তাই বাসা বাড়িতে এখন বিয়ের পাত্র পাত্রী দেখার আগে ছেলে মেয়েকে জিজ্ঞাস করা হয় তার কোন পছন্দ আছে কিনা?
যদি শুনে পছন্দ আছে তাহলে সেই পছন্দের মানুষকে বাদ দিয়ে তামাম দুনিয়ার যে কারো সাথে বিয়ে দিতে গার্জিয়ানেরা বদ্ধপরিকর থাকিবে!! :3
.
.

সো ফেব্রুয়ারী মাস আইলেই এইডে, ঐডে এর পিছে টাকা আর সময় নষ্ট করার আগে ভালোমত হিসাব কইরা দেখেন যার পিছে ঘুরতাছেন হের কাছে নিজের মার্কেট ডিমান্ড কত? যতই কন হিসাব কইরা ভালোবাসা যায়না কিন্তু একটা টাইমে দেখবেন ঠিকি ক্যাল্কুলেটার নিয়া হিসাবে বসতে হইছে।
.
শেষে যাইয়া ‘তুমি অনেক ভালো মানুষ, তুমি আমার চেয়ে অনেক ভালো কাউকে ডিজার্ভ করো’ এই পুরান টেপ রেকর্ডার যেন বাজানির না লাগে -_-

উৎসঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10205951668012933&id=1296783107

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জমির মালিকানা

=খতিয়ান কি?
=সি এস খতিয়ান কি?
=এস এ খতিয়ান কি?
=আর এস খতিয়ান কি?
=বি এস খতিয়ান কি?
=পর্চা কি?
=চিটা কি?
=দখলনামা কি?
=বয়নামা কি?
=জমাবন্দি কি?
=দাখিলা কি?
=হুকুমনামা কি?
=জমা খারিজ কি?
=মৌজা কি?
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
=খতিয়ানঃ

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে
খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি,
খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে
সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য।

=সি এস খতিয়ানঃ

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

=এস এ খতিয়ানঃ

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ানঃ

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য
পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি
মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

=বি এস খতিয়ানঃ

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

=দাগঃ

দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।
সরেজমিনে জরিপ করার পর আমিন বা জমি পরিমাপকারী সর্ব প্রথম গ্রামের চতুঃসীমা নির্ধারণ করেন এবং গ্রামের প্রতিটি ভূমিখ-
পরিমাপ করে তার অবস্থান ওই গ্রামের প্রস্তুয়মান নকশায় প্রদর্শন করার জন্য সংখ্যায়িত করেন। এভাবে নকশায় প্রদর্শিত প্রতিটি ভূমিখন্ডের সংখ্যাকে দাগ নম্বর বলে। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।

=পর্চা কীঃ

ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকেরনিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।

=চিটাঃ

একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।

=দখলনামাঃ

দখল হস্তান্তরের সনদপত্র।
সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।
সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই
সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট
থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

=বয়নামাঃ

১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা
নামে পরিচিত।
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে।
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

=জমাবন্দিঃ

জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।

=দাখিলাঃ

সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে রশিদ প্রদান করা হয় তা
দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।
দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।

=হুকুমনামাঃ

আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।

=জমা খারিজ কিঃ

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।

=মৌজা কিঃ

ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।

আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য
জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন।