সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১১

আমাদের জাতীয় চরিত্র, পর্ব এক

(যারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন তাদের জন্য প্রযোজ্য)


আমরা বেশীরভাগ মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ওঠার আগ পর্যন্ত অত্যন্ত বিপদে থাকি এবং প্রানান্তকর চেষ্টা করি। কিন্তু উঠতে পারলে ভিন্ন রূপ - এরপর চেষ্টা থাকে কিভাবে অন্যকে রোখা যায়। ভাই জায়গা নাই; পারাপারি করতাছেন ক্যান। মুখে থাকে হাসি। ভাবটা এমন; আমি পারছি। আপনে পারেন নাই; তাতে কি। পরেরটায় আসুন। কেউ কেউ আবার চরম বিরক্ত। ভাবটা এমন লোকগুলা তো বড়ই ফাউল। খালি ঠেলাঠেলি করে। যেই লোকটা এই ঠেলাঠেলির যন্ত্রণা সহ্য করে উঠতে পারে তারও একই আচরন হয় বাকিদের প্রতি।
  

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

ফরিদপুর, কুলিয়ার চর, কিশোরগঞ্জ বেড়াতে গিয়েছিলাম

জায়গাটা আমাদের এক বন্ধুর গ্রামের বাড়ি (ফরিদপুর গ্রাম)। ওখানে আমরা সবাই অনেকবার গিয়েছি। তারপরও কেউ ওখানে যাওয়ার কথা বললে বিরক্ত হয়না। বাড়িটা অনেক বড় এবং নিরিবিলি।


১১.১১.১১ তারিখে বিকাল ৪.৩০টা ৫.০০টার দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম। মোট ১১ বন্ধু। আমরা ৮ জন বৌ বাচ্চাসহ।


আনন্দে কেটেছে ঈদ উত্তর দুইটা দিন। স্পেশাল তারিখে (এমন আরেকটি তারিখ ১০০০ বছর পরে আসবে) বার বি কিউ পার্টি, রাত জেগে আড্ডাবাজি, হৈ হুল্লোড়। ভোরে উঠে পিঠা খাওয়া, বড়শি দিয়ে মাছ ধরা, তারপর গ্রামের ভিতর ঘুরতে যাওয়া। বাচ্চাদের হুলুস্থুল। দুপুরে শ্যালো মেশিনের পানিতে গোসল করা। তারপর খাবারের উপরে হামলে পড়া।


পরদিন সন্ধ্যার পর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা।

দুই বলদ (এইখানে ক্লিক করুন)

দুই বলদ

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১১

ছাত্রদের রাজনীতি করার দরকার আছে কি?

যারা রাজনীতি সচেতন...তারা একবাক্যে বলবেন...হ্যাঁ


তারা বলবেন স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা...স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা...
তখন তো সবাই ছিলো...শুধু ছাত্ররা না...ওই ধরনের পরিস্থিতি তো সবসময় ঘটেনা...সময়ের প্রয়োজনে সবাইকেই ঘর থেকে বের হতে হয়...


কিন্তু তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতির নামে এই লেজুড়বৃত্তি সহ্য করতে হবে?


আমার মতে, ছাত্রদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত লেখাপড়া / গবেষনা...অন্য কোন কাজ নয়...

সভ্যতা ও জলাশয়

জগতের সব সভ্যসমাজে জলাশয়কে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লন্ডনের টেমস নদীর অবস্থা একসময় আমাদের বুড়ীগঙ্গার চেয়েও খারাপ ছিলো। এখন দেখুন ওরা কি করেছে। থাইল্যান্ডের যে জায়গাটাকে Floating Market হিসাবে সারা পৃথিবী চিনে তার অবস্থা এখনও আমাদের বুড়ীগঙ্গার চেয়ে খারাপ। নোংরা পানি; সরু জলাশয়। দুই ধারে ওরা কি মহাসমারোহ করে রেখেছে। আমাদের চ্যানেলগুলো ভ্রমণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানগুলোতে দেখায়। এরকম অসংখ্য উদাহরন আছে সারা পৃথিবীতে।


অথচ আমাদের এত সুন্দর প্রাকৃতিকভাবে সাজানো নদীতো আছেই.......শহরের মাঝেই আছে অনেক জলাশয়। এগুলো চরম আক্রোশে ভরাট চলছে প্রতিনিয়ত।


তাহলে আমরা কি সভ্য না............?

ফুটপাত দিয়ে হাঁটা কত কষ্টকর জানেন কি?

নিশ্চই জানেন...
ফুটপাত দিয়ে হাঁটা মানে জীবনযাপন কত কষ্টকর তা উপলব্ধি করা...পদে পদে বাঁধা...কোথাও উঁচু নিচু...কোথাও দোকানের সাইনবোর্ড (উপরে ও নীচে)...কোথাও দোকানের মালপত্র রাখা...কোথাও মটরসাইকেলের যন্ত্রণা...কোথাও গর্ত ও খানাখন্দ...
এগুলো দেখেই মনে হয় গান লেখা হয়েছে..."জীবন মানে যন্ত্রণা...নয় ফুলের বিছানা.."

বিদেশীদের সঙ্গে চুক্তি করার সময় আমাদের দেশের লোকজন কেন সবসময় পরাজিত হয়?

বিদেশীদের সঙ্গে চুক্তি করার সময় আমাদের দেশের মানুষেরা সাধারনত দুটি কারণে পরাজিত হয় বলে আমার মনে হয় :

০১। প্রথমত: অযোগ্যতা (তারা বুঝতেই পারেনা কিভাবে ভবিষ্যতে তাদের ঠকানো হবে)
০২। দ্বিতীয়ত: দেশপ্রেমহীনতা (তারা চুক্তির মাধ্যমে জিততে চায়না...নিজেদের পকেটে অর্থ সমাগম হলেই তারা খুশী)

নেতার বক্তৃতা কেমন হ্ওয়া উচিত?

আমি আমার মত বলি...

নেতার বক্তব্য হ্ওয়া উচিত সুচিন্তিত...দিকনির্দেশনামূলক...প্রণোদনামূলক...
নেতা হইয়াছি দেইখা দুই চাইরটা ডায়ালগ (থুক্কু মনোলগ) মাইরা দিলাম...এমন নেতা চাইনা...

বক্তৃতা এমন হ্ওয়া উচিত যা যুগের পর যুগ মানুষ মনে রাখবে...পাঠ্যপুস্তকে চলে আসবে...মানুষে উদাহরণ দিবে...

অনেকেরটা নাকি বড় বড় মানুষেরা লেইখা দেয়...কিন্তু বক্তৃতায় কোন বস্তু নাই...একঘেয়ে, নিষ্প্রাণ, পুরান ক্যাচল আর প্যাচাল, মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা ইত্যাদি

হেরা ভাবে দেশের বেশীরভাগ মানুষ অশিক্ষিত...একটা কিছু কইয়া দিলেই হইলো। আরে ফাউল বিচক্ষনতার সাথে প্রচলিত শিক্ষার কোন যোগাযোগ নাই। জগতের অনেক প্রতিষ্ঠিত, সম্মানিত মানুষের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই।

বিদেশী অতিথী ও আমাদের হীনমন্যতা

আমাদের অফিসে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই বিভিন্ন বিদেশী অতিথী আসেন। অতিথী সম্নানিত সবসময়ই। কিন্তু আমাদের লোকেরা এমন বিনয়ী হয় দেখে মনে হয় ওরা প্রভু আর আমরা ভৃত্য। অথচ এমনও আছে - আমরা ভালো পরিস্থিতিতে আছি। ওরা আমাদের কাছ থেকে কোন সুবিধা নিতে চায়। তাই আলোচনা করতে এসেছে। কিন্তু আমাদের লোকজন এমন ভাব করে যে, মনে হয় ওরা দয়া করে এসেছে এটাই ওদের মহানুভবতা। এই হীনমন্যতা আমাদের জাতীয় সমস্যা মনে হয়। বিদেশী মানে উন্নত জাত। বিদেশ থেকে চোর আসলো না ডাকাত আসলো না কোন ধান্দাবাজ আসলো সে বিবেচনা পরে। আগে মাথা নত করে তাকে কুর্ণিশ করো। কোনটা যে সম্মান আর কোনটা হীনমন্যতা আমরা সম্ভবত বুঝিনা। তাই সম্মান পাই ও না।

এদের কারবার দেখে প্রায়ই মন খারাপ হয়।

শান্তির শহর ঢাকা

কি অদ্ভুত লাগছে এই শহরটাকে। মনে হয় কোন মফস্বল শহর। মনে কেমন শান্তি শান্তি লাগছে। ঘুরতে আরাম, হাঁটতে আরাম, দম নিতে আরাম, কানে আরাম.....আরামই আরাম।

এতবড় দেশ। শুধু ঢাকা শহরেই জ্যাম আর জ্যাম। যদি আমাদের দেশে স্মার্ট কোন সরকার থাকতো অর্থাৎ যদি আমাদের দেশে কোন সরকার থাকতো তাহলে সব জেলায় না হলেও কিছু কিছু জেলায় প্রশাসনিক কাজকর্ম ভাগ করে দিলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করলে মোট কথা পরিকল্পনা মত বিকেন্দ্রীকরন করলে ঢাকা শহর একটু দম ফেলতে পারতো।

এরকম কি কোনদিন হবে? কোন যোগ্য নেতা কি এই দেশে পাওয়া যাবে না?

বিঃ দ্রঃ সরকার মানে কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দল নয়। সরকার মানে একদল মানুষ যারা জনগনের মঙ্গলের দায়িত্বে থাকে।