রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশের অসাধারন জলবিন্যাস

সম্পূর্ণ দেশটায় জলবিন্যাস খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। সমুদ্র, নদী, উপনদী, শাখানদী, খাল, বিল - সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে।

জলপথে মালামাল পরিবহণ সবচেয়ে সস্তা।

জলপথে ভ্রমণ আরামদায়ক। শরীর ক্লান্ত লাগে কম।

পানি বিশেষজ্ঞ জনাব আইনুন নিশাত অনেকভাবে চেষ্টা করেছেন কিভাবে পানিপথকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তা ক্ষমতাবানদের বোঝাতে।

তিনি পরিকল্পনা করে দেখিয়েছেন ঢাকা শহরের জলাশয় ব্যবহার করে অফিসগামী মানুষেদের সময়মত কর্মস্থলে পৌছানোর সমস্যা দূর করা সম্ভব।

আরো অনেকে এব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। কেউই এসব অপ্রয়োজনীয় তুচ্ছ প্রস্তাব পাত্তা দেয়না। তারা অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিজি।

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

সুখী হওয়ার উপায়

নিজের সুখের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবেঃ
অন্যরা আমাকে সুখী করবে এমন আশা করা ভুল। আপনার সন্তান, জীবনসঙ্গী, বড় বাড়ি বা গাড়ি কেউই আপনাকে সুখী করতে পারবেনা। সে দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। নিজের হৃদয়কে স্বাধীনভাবে উপভোগ করুন - জীবন, লোকজন, অর্থ বা এজাতীয় বস্তু দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে। শান্তি ও আনন্দ আপনার হৃদয়ে - বাহ্যিক কোন বস্তুতে নয়।

নিজের গল্পকে বদলে দিনঃ
নিজেকে নিয়ে বলা গল্পগুলো বদলে দিন - কে আপনি, আপনার জীবনে কি ঘটেছিল, জীবনকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চান। পান্ডুলিপিটা আপনার, আপনিই গল্পটা বদলে দিন।

যাত্রাপথটা উপভোগ করুন, গন্তব্য নয়ঃ
আমরা অনেকেই আমাদের সুখটাকে দীর্ঘায়িত করি এসব বলে - আমি জীবনের এই পর্যায়ে পৌছালে, বা সন্তানের বাবা হলে, বা বিয়ে করলে, সুখী হব। এত দেরী কেন? এখন নয় কেন? সম্পূর্ণ যাত্রাটাই উপভোগ করি না কেন? শেষ সীমায় গিয়ে কেন? আমি নিজের মনোযোগ নিজেই চাই। আপনি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে না করলে, কেউই তা করবে না।

সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দিনঃ
সবকিছুই সম্পর্কনির্ভর। স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক - খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ যতক্ষণ আপনি জানেন অন্য কেউ আপনার জীবনের দায়ভার নিয়েছে ততক্ষণ আপনার দায়িত্ব অনেক কমে গেল। নিজের সাথে নিজের সম্পর্ক ও উপভোগ করুন। কারণ, আপনি নিজেকে নিজে পছন্দ না করলে, অন্য কারো পক্ষে আপনাকে পছন্দ করা কঠিন।

আপনি নিজেকে পছন্দ করতে শুরু করলে অন্যরা আপনার তৈরী করা এই পার্টিতে যোগ দেবে। এছাড়া আপনার সন্তানের সাথে সম্পর্কটাকে উপভোগ করুন। উপভোগ করুন জীবনসঙ্গী, বন্ধু-পরিজন এর সঙ্গ। সম্পর্কগুলোকে উপভোগ করার জন্য সময় বের করুন। কারন প্রকৃতির শিক্ষা হল, সম্পর্ক ছাড়া কোন ফল লাভ করা যায়না। কর্মক্ষেত্র, বাড়ি, জীবন, ধর্ম - কোন ক্ষেত্রেই আপনি একা ফলবান হতে পারবেন না।

কাজ ও বিনোদনের সমন্বয় করাঃ
আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, চেষ্টা করুন কিছু বিনোদনের মাধ্যমে তার সাথে সমন্বয় করতে। আবার যদি আপনার জীবনে বিনোদন বেশী এবং কাজ কম হয়, আপনি আকর্ষনীয় কিন্তু ক্ষুধার্ত ব্যক্তি হবেন। সন্তানের সাথেও সমন্বয় করতে হবে। বাড়ি সবসময় পুলিশ হয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে মজার লোক হয়ে যান। প্রতিদিনের সবকিছু গুরুগম্ভীর হতে পারেনা। আমরা নিজেদের প্রতি অপ্রয়োজনে বেশী চাপ নিয়ে নিচ্ছি। এজন্য আমাদের সৃষ্টি করা হয়নি।

(সংগৃহীত ও অনুদিত)

মুহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যত বাণীসমুহ

(শেষ সময়ের নিদর্শনসমুহ)

শিশুরা ভীষণ বদমেজাজী হবে

বৃষ্টি হবে আম্লিক (অম্লবৃষ্টি)

মন্দ লোকেরা সর্বত্র বিস্তৃত।লোকেরা বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতক বিবেচনা করবে।সত্যবাদীকে মিথ্যুক এবং মিথ্যুককে সত্যবাদী বলা হবে

থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে (Satellite communication) এবং লোকেরা তাদের পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে (অন্যকথায়, লোকেরা বাসায়ই অবস্থান করবে আর স্যাটেলাইট ডিশের মাধ্যমে টেলিভিশন দেখবে)। এমনকি তারা প্রতিবেশীর নিকটও যাবেনা।

মুনাফিকরা শাসন করবে এবং সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকগুলো বাজার নিয়ন্ত্রন করবে (Commodity pricing)।

মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে কিন্তু হৃদয়সমুহ হবে কুৎসিত। ফলে লোকেরা মসজিদে ইবাদত করবে ঠিকই, অথচ আত্নশুদ্ধির কোন প্রচেষ্টা থাকবেনা। কিন্তু মসজিদসমুহ হবে সুন্দর।

মুমিন ব্যক্তি কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশী অপদস্থ হবে। যেন কোন মূল্যই নেই।

পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার লাভ করবে।

অল্পবয়সী লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে।(যেমনঃ জুকারবার্গ ত্রিশ বছরের পূর্বেই মাল্টি বিলিয়নিয়ার)

নারীদেরকে নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে।

তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্নক সভ্যতা। তবে, যে সভ্যতাই পৃথিবীতে ধ্বংসাত্নক হবে সেটাই  ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

বাদ্যগীতের সরঞ্জাম প্রসার লাভ করবে। এসব যন্ত্র তাদের মাথার উপর শোভা পাবে (Headphones)।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হবে অনেক এবং লোকেরা ঠাট্রা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে (যেমনঃ বর্তমান টিভি শোগুলো)

বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে।

ফিতনাসমুহ তাদের সামনে মাদুরের আকৃতিতে দেখাবে। এর দুটি সীমারেখা থাকবে। একটি উলম্ব এবং আরেকটি আনুভূমিক রেখা (টেলিভিশন সেট)। আর এভাবেই এর মাধ্যমে শয়তান তাদের অন্তরসমুহ কলুসিত করবে (ফিতনাসমুহ চলচ্চিত্র এবং টিভিতে দেখানোর মাধ্যমে)। বারংবার, যতক্ষন না লোকেরাও অনুরূপ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।

দুই প্রকার জাহান্নামী আছে, যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। গরুর লেজের ন্যায় চাবুক হাতে কিছু লোককে দেখবে। তারা এর দ্বারা লোকদের প্রহার করবে।

নারীরা পোষাক পরেও উলঙ্গ থাকবে। তারা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদের তাদের দিকে আকর্ষণ করবে। তাদের চুল হবে "বখতের" লোমশ উটের মত। এসব লোকেরা জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।

আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক মদকে ভিন্ন নাম দিয়ে পান করবে। ঠিক একারণে এগুলোর বহু নাম থাকবে।


(ইবনে মাসুদ রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)

বরিশাল ভ্রমণ

হক সাহেবের দেশে :

(একটি জায়গায় যাবার আগে যদি তার ইতিহাস জেনে যান তবে ভ্রমণের আনন্দ বেড়ে যায় বহুগুন। আর সেজন্যই শহর বরিশাল নিয়ে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস)

শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এর নাম শোনেননি এমন মানুষের দেখা পাওয়া ভার। একাধারে শিক্ষিবিদ, আইনজীবি, দানবীর, সুবক্তা হিসেবে তিনি পাক ভারত উপমহাদেশে সুপরিচিত ছিলেন। বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী এ,কে ফজলুল হক এর দেশ, ধান নদী খাল এর দেশ বরিশাল ঘুরে আসতে পারেন ২-১ টা দিন সময় পেলে।

বরিশাল- এখানকার অধিবাসীরা আদর করে ডাকে বইরশাল। বরিশালের রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। এর প্রাচীন নাম চন্দ্রদ্বীপ। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে ইন্দোচীন থেকে 'বাঙ' নামের এক জাতি এ চন্দ্রদ্বীপ এ বসতি স্থাপন করে। বাঙ শব্দের অর্থ জলাভুমি। 'বাঙ' নামের এ জাতিটি তাদের ক্ষেতে আল দিয়ে চাষ করত বলে এ এলাকাকে বাঙালাবাদ বলা হত।

এই বাঙ্গালাবাদ থেকেই বাঙালী শব্দটি এসেছে বলে মনে করা হয়। পাল এবং সেন আমলেও বঙ্গ বলতে এই দক্ষিন বঙ্গকেই বোঝাত। ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার লিখেছেন- দক্ষিনবঙ্গের বাঙালা থেকেই আজকের বাংলার নামকরন হয়েছে। আর বরিশাল নামটি এসেছে ব্যারিসল্ট থেকে। সপ্তদশ শতকে এখানকার বন্দরে ইউরোপীয় বণিকেরা লবন বাণিজ্য করতে আসতো। নদীতে ব্যারিকেড দিয়ে সল্ট এর শুল্ক আদায় করা হত বলে নামকরন করা হয়ে ব্যারিসল্ট কালক্রমে যা হয় বরিশাল।

কি দেখবেন : শহর বরিশালে রয়েছে অনেক কিছু্ দেখার। নীচে কিছু দেয়া হল।
স্টিমার ঘাট :

কীর্তনখোলা নদীর তীরেই স্টিমার ঘাট এর অবস্থান। বেশ বড় একটি জেটি প্রায় সময় খালি থাকে। তবে খুব সকাল আর সন্ধ্যায় স্টিমার ঘাটে ভিড়লে এর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ভেবে রোমাঞ্চিত হবেন যে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে ইল্যাংন্ড এর রিভার এন্ড স্টিম নেভিগেশন (আরএসএন) কোম্পানীর বিশাল বিশাল সব স্টিমার চলাচল করতো এ ঘাট দিয়ে। বাহারী নাম ছিলো সে সবের- ফ্লেমিংগো, ফ্লোরিকান, বেলুচি ইত্যাদি। বরিশাল থেকে ঢাকা, খুলনা, কোলকাতা যেতে স্টিমারই ছিলো ভরসা।

বলা হয়ে থাকে বৃটিশ সরকার নাকি বরিশালে রেলপথ সম্প্রসারনের উদ্যোগ নিয়েছিলো কিন্তু স্টিমার কোম্পানীর মালিকেরা ব্যবসা হারানোর ভয়ে লন্ডনে বসে সে উদ্যোগের দফারফা করে দেয়। বর্তমানে নুতন পুরোনো মিলিয়ে সপ্তাহে ৬ দিন স্টিমার চলাচল করে।

অশ্বিনী কুমার টাউন হল :

শহরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে রয়েছে অশ্বিনী কুমার টাউন হল। একদা দক্ষিনাঞ্চলের সাংষ্কৃতির সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত এ টাউন হলটিরও রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। ১৯০৬ সালে রাজা সাহেবেের মহলে বৃটিশবিরোধী মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। সে সময় এ ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য বরিশালবাসি একটি স্থানের প্রয়োজনীয় অনুভব করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২০ সালে মহাত্বা অশ্বিনী কুমার দত্তের সভাপতিত্বে বরিশালে একটি টাউন হল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং একটি কমিটি গঠিত হয়। ১৯২১ সালে এর কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯৩০ সালে। মাঝে ১৯২৩ সালে অশ্বিনী কুমার এর মৃত্যু হলে এর নামকরন করা হয় অশ্বিনী কুমার টাউন হল। এটি নির্মানে খরচ হয় ৪০ হাজার রুপি। আর এ অর্থ সংগ্রহ হয় খেলাফত আন্তোলন, অসহযোগ আন্দোলন এর সময় গৃহীত ফান্ড থেকে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই টাউন হলটিতে বরিশালের নানা সাংষ্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বরিশাল এর আরেক সুসন্তান বিপ্লবী সতীন্দ্রনাথ সেন এই হলের একটি রুমে থাকতেন।

বি এম কলেজ : প্রায় ১২৬ বিঘা জমির ওপর দাড়িয়ে থাকা বি এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ একটি দর্শনীয় স্থান। কলেজটির রয়েছে এক দীর্ঘ ইতাহাস। বরিশালের ম্যাজিষ্ট্রেট রমেশ চন্দ্র দত্তের অনুপ্রেরনায় মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ১৮৮৪ সালে তর বাবার নামে ব্রজমোহন ইন্সটিটিউট স্কুল (বিএম ইন্সটিটিউট) প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৯৮ সালে এটি কলেজে উন্নীত হয়। তখন থেকেই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে দক্ষিনাঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার করে আসছে। সে সময় প্রবেশিকা পরীক্ষায় সারা ভারতে শতকরা ২২ ভাগের বেমি পাস করেনি কিন্তু বিএম ইন্সটিটিউট থেকে শতকরা ৮২ ভাগ ছাত্র পাস করলে সারা ভারতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সে সময় প্রফেসর ক্যানিংহাম বি এম কলেজ পরিদর্শন করে রিপোর্ট দ্যান : "বি এম কলেজের মতো উতকৃষ্ট কলজে থাকিতে বাঙালী ছেলেরা বিদ্যা শিক্ষার জন্য কেন অক্সফোর্ড যায়, আমি বুঝিতে পারিনা।"

তবে এর কিছুদিন পরেই কলেজটি বৃঠিশ সরকারের রোষানলে পড়ে অশ্বীনি কুমারের স্বদেশী আন্দোলনে জড়িয়ে পরার কারনে। এ আন্দোলনে কলেজের বহু শিক্ষক এবয়ং ছাত্ররা অংশগ্রহন করে। তারা গান বেধেছেন, মিছিল করেছেন, জেল খেটেছেন এবং বিদেশী দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। বরিশালের সাধারন মানুষও এ আন্দোলন এ যোগ দেয়। বরিশালে সব বিদেশী পণ্য আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। জনতা লাট সাহেবের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করে। এর ফলে বৃটিশ সরকার ক্ষেপে গিয়ে কলেজের সব সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। বৃত্তি প্রদান বন্ধ করে দেয়,ছাত্ররা পাস করে যাতে সরকারি চাকরি না পায় তার ব্যবস্থা করে। সে সময় দেবপ্রসাদ ঘোষ এন্ট্রাস পরীক্ষায় সারা ভারতে প্রথম হন। প্রথা অনুযায়ী তাকে সোনার মেডেল এবং বৃত্তি দেবার কথা, কিন্তু তাও দেয়া হয়নি।

২ য় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলেজটি আবার বির্যয়ের মুখে পরে। ১৯৪৭ এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কারনে কলেজের দুই তৃতিয়াংশ ছাত্র দেশ ত্যাগ করে ফলে কলেজটি অনার্স কোর্স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় এবং কোন মতে পাস কোর্স নিয়ে চলতে থাকে। ১৯৬৪-৬৫ সালে আবার অনার্স কোর্স চালু হয়। বহু গণি লৌকের পদভারে মুখরিত ছিলো এ কলেজ। কবি জীবনানন্দ দাশ এ কলেজ থেকে ১৯১৭ সালে আইএ পাস করেন।

বিবির পুকুর : বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে দারুন সুন্তর একটি পুকুর যা বিবির পুকার নামে পরিচিত। এটিও দেখতে ভুলবেন না। সন্ধ্যার দিকে আলো ঝলমলে পুকুরটির পাড়ে বসে আড্ডা আর খাবারের নানান সমারোহ। আসুন দেখি এ পুকুরটি কি করে হলো।

বাংলা মুদ্রন সাহিত্যের জনক বলে পরিচিত উইলিয়াম কেরি ১৮০০ শতকে কিছু দিন বরিশাল ছিলেন। সে সময় তিনি পর্তুগিজ জলদস্যুদের কাছ থেকে জিন্নাত বিবি নামে এক মহিলাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু সে সময় সেখানকার সমাজ মেয়েটিকে আশ্রয় দিতে না চাইলে কেরি নিজেই তাকে আশ্রয় দেন এবং জিন্নাত বিবির নামে একটি তালুক কেনেন। জিন্নাত বিবি সে তালুক নিজে ভোগ না করে জনসাধারনের জন্য একটি পুকুর খনন করান যা ওই এলাকার জলকষ্ট দুর করতো। এটিই পরে বিবির পুকুর নামে পরিচিতি পায়। পুকুর পাড় এ কেরি সাহেব একটি গির্জাও তৈরী করেন য বরিশাল এলাকার প্রথম গির্জা। এটি তৈরিল কারনে এলাকাটির নামই হয়ে যায় গির্জা মহল্লা।

বেলস পার্ক : নির্মল বাতাস খেতে যেতে পারেন বেলস পার্ক। গত শতকের গোড়ার দিকে বরিশারের ডিস্টিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন নিকোলাস বিটসন বেলস। তিনি ছিলেন ভারত দরদী ইংরেজ। বরিমালের জন্য তার ভালোবাসার অন্ত ছিলোনা। বহু জনকল্যানমুখি কাজ করে গেছেন তিনি। এই নিকোলাস বেলস ১৯০৯ সালে বরিশালে তরুনদের খেলাধুলার জন্য একটি পার্ক তৈরী করেন পরবর্তীতে যার নামকরন করা হয় বেলস পার্ক।

চারন কবি মুকুন্দ দাসের বাড়ি : বৃটিশ সরকার এবং বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালনকারি চারন কবি মুকুন্দ দাসের শৈশসব, কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে বরিশালে। গত শতাব্দীর প্রথমদিকে তিনি একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেনঅ নাম দেন ্বান্দময়ী মন্দির। নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড এর পাশেই এ মন্দিরে নেতাজি সুভাব বসু, দেশবন্দু চিত্তরঞ্জন দাস, মহাত্মা গান্ধীসহ অনেক বিখ্যাত মাুনষজন গিয়েছেন। আপনিও ঘুরে আসুন।

ওপরের এগুলো ছাড়াও দেখতে পারেন :

মাধবপাশা দুর্গাসাগর দীঘি : শহর থেকে প্রায় ১২ কি:মি দুরে এ ২৫০০ হেক্টর আয়তন এর এ দিঘীটি ১৭৮০ সালে খনন করান মাধবপাশা রাজ্যর রাজা জয়নারায়ন। দিঘীটির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এবং মাঝে রয়েছে একটি দ্বীপ। একটি বিকেল কাটাবার জন্য দারুন সুন্দর একটি স্থান এটি।

গুঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ : বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর মসজিটি অবস্থিত বরিশাল থৈকে ২৫ কি:মি: দুরের গুঠিয়ায়। দুর্গাসাগর থেকে ১০ মিনিট লাগবে যেতে।

চাখার শের এ বংলার বাড়ি : বরিশাল শহর থেকে প্রায় ৩২ কি: মি: যদিও বাড়িঘর নেই তবে তার স্মৃতির একটি যাদুঘর আছে এবং তার প্রতিষ্টিত কলেজ ও স্কুল রয়েছে বেশ কটি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় : আধুনিক স্থাপত্যকলায় নির্মিত। শহর থেকে ৪-৫ কি:মি: দুরে।

উৎসঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1349302335084712&id=1255069934507953