শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬

দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অপচয়

প্রতি বছর কত হাজার মিলিয়ন ডলার চিকিৎসা খাতে ব্যয় করে বাংলাদেশ?
Second Home (২য় আবাস) খাতে কত হাজার মিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে যায়?
শিক্ষা খাতে কত হাজার মিলিয়ন ডলার?

এই শিক্ষা জাপানীরা কোথায় পায়?

জাপানী দল বিশ্বকাপে হেরে গেলেও জাপানী দর্শকরা গ্যালারী পরিষ্কার করে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন। এ কেমন কথা? এটা কি কোন পরাজয়ের ভাষা! হেরেছিস- রেফারীর গুষ্টি তুলে গালি দে- বলে দে পয়সা খেয়েছে। বিয়ারের ক্যান, কোকের ক্যান, চিনাবাদামের খোসা যা পাস ছুড়ে দে। দুই দিন হরতাল ডাক। অন্তত বুদ্বিজীবিদের ভাষায় এটা তো বলতে পারিস যে খেলোয়াড় নির্বাচন ঠিক হয়নি- সরকারের অথবা বিরোধী দলের হাত আছে।
--

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হেরে গিয়ে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আমেরিকার প্রতিনিধি ম্যাক আর্থারের কাছে গেলেন। প্রতীকি আইটেম হিসাবে নিয়ে গেলেন এক ব্যাগ চাল। হারাকিরি ভঙ্গিতে হাটু গেড়ে মাথা পেতে দিয়ে বললেন- আমার মাথা কেটে নেন আর এই চাল টুকু গ্রহণ করুন। আমার প্রজাদের রক্ষা করুন। ওরা ভাত পছন্দ করে। ওদের যেন ভাতের অভাব না হয়।

আরে ব্যাটা তুই যুদ্ধে হেরেছিস তোর আত্মীয় স্বজন নিয়ে পালিয়ে যা। তোর দেশের চারিদিকেই তো পানি। নৌপথে কিভাবে পালাতে হয় আমাদের ইতিহাস (লক্ষণ সেন) থেকে শিখে নে। কোরিয়া বা তাইওয়ান যা। ওখানকার মীরযাফরদের সাথে হাত মিলা। সেখান থেকে হুংকার দে।
সম্রাট হিরোহিতোর এই ক্যারেক্টার আমেরিকানদের পছন্দ হলো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কুখ্যাত মহানায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র হিরোহিতোকে বিনা আঘাতে বাচিয়ে রাখা হলো।
--
জাপানে পড়তে আসা এক বাংলাদেশী ভাই একদিন ফোনে বললো- ভাই, বড়ই লজ্জায় আছি।
কেন কি হয়েছে ?
ড্রইং ক্লাসে ড্রইং বক্স নিয়ে যাইনি।
তো?
জাপানী স্যার বড় একটা শিক্ষা দিয়েছেন।
কি করেছে?
আমার কাছে এসে উল্টা ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন আজ যে ড্রইং বক্স নিয়ে আসতে হবে তা স্মরণ রাখার মত জোর দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন নি। তাই সে দুঃখিত।
হুম।
আমি তো আর কোন দিন ড্রইং বক্স নিতে ভুলবো না, ভাই । আজ যদি সে আমাকে বকা দিত বা অন্য কোন শাস্তি দিত আমি কোন একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বাচার চেষ্টা করতাম।
--
২০১১ সালের ১১ই মার্চ। Tsunami র আগাম বার্তা শুনে এক ফিশারি কোম্পানীর মালিক সাতো সান প্রথমেই বাচাতে গেলেন তার কর্মচারীদের। হাতে সময় আছে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রায়রিটি দিলেন বিদেশি (চাইনিজ) দের। একে একে সব কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে পাশের উচু টিলায় নিজ হাতে রেখে এলেন। সর্বশেষে গেলেন তার পরিবারের খোজ নিতে। ইতিমধ্যে Tsunami সাহেব এসে হাজির। সাতো সানকে চোখের সামনে কোলে তুলে ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন। আজও খোজহীন হয়ে আছেন তার পরিবার। ইসস সাতো সান যদি রানা প্লাজার মালিকের সাথে একটা বার দেখা করার সুযোগ পেতেন ।
সাতো সান অমর হলেন চায়না তে। চাইনিজরা দেশে ফিরে গিয়ে শহরের চৌরাস্তায় উনার প্রতিকৃতি বানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
--
নয় বছরের এক ছেলে। স্কুলে ক্লাস করছিল। Tsunami-র আগমনের কথা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্রদের তিন তলায় জড়ো করলো। তিন তলার বেলকনি থেকে দেখলো তার বাবা আসছে গাড়ি নিয়ে। গাড়িকে ধাওয়া করে আসছে ফোসফোসে পানির সৈন্য দল। গাড়ির স্পিড পানির স্পিডের কাছে হার মেনে গেলো। চোখের সামনে নাই হয়ে গেল বাবা। সৈকতের নিকটেই ছিল তাদের বাসা। মা আর ছোট ভাই ভেসে গেছে আরো আগে। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ছেলেটি আশ্রয় শিবিরে উঠলো। শিবিরের সবাই ক্ষুধায় আর শীতে কাপছে। ভলান্টিয়াররা রুটি বিলি করছেন। আশ্রিতরা লাইনে দাড়িয়ে আছেন। ছেলেটিও আছে। এক বিদেশী সাংবাদিক দেখলেন, যদ্দুর খাদ্য (রুটি) আছে তাতে লাইনের সবার হবেনা । ছেলেটির কপালে জুটবে না। সাংবাদিক সাহেব তার কোট পকেটে রাখা নিজের ভাগের রুটি দুটো ছেলেটিকে দিলেন। ছেলেটি ধন্যবাদ জানিয়ে রুটি গ্রহন করলো। তারপর যেখান থেকে রুটি ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছিল সেখানেই ফেরত দিয়ে আবার লাইনে এসে দাড়াল। সাংবাদিক সাহেব কৌতুহল ঢাকতে পারলেন না। ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করলেন - এ কাজ কেন করলে খোকা? খোকা উত্তর দিল- বন্টন তো ওখান থেকে হচ্ছে। উনাদের হাতে থাকলে বন্টনে সমতা আসবে। তাছাড়া লাইনে আমার চেয়েও বেশী ক্ষুধার্ত লোক থাকতে পারে।
সহানুভুতিশীল হতে গিয়ে বন্টনে অসমতা এনেছেন- এই ভেবে সাংবাদিক সাহেবের পাপবোধ হলো। এই ছেলের কাছে কি বলে ক্ষমা চাইবেন ভাষা হারালেন।
--
যাদের জাপান সম্পর্কে ধারণা আছে তারা সবাই জানেন...যদি ট্রেনে বা বাসে কোন জিনিস হারিয়ে যায়, অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, ঐ জিনিস আপনি অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাবেন। গভীর রাতে কোন ট্রাফিক নেই, কিন্তু পথচারী ঠিকই ট্রাফিক বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত পথ পার হচ্ছেন না। ট্রেনে বাসে টিকিট ফাকি দেয়ার হার (%) প্রায় শুন্যের কোঠায়। একবার ভুলে ঘরের দরজা লক না করে এক বাংলাদেশী দেশে গেলেন মাস খানেক পর এসে দেখেন, যেমন ঘর রেখে গেছেন, ঠিক তেমনই আছে।

এই শিক্ষা জাপানীরা কোথায় পায়?
সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে। সর্বপ্রথম যে তিনটি শব্দ এদের শিখানো হয় তা হলো-
কননিচিওয়া (হ্যালো) - পরিচিত মানুষকে দেখা মাত্র হ্যালো বলবে।
আরিগাতোউ (ধন্যবাদ) - সমাজে বাস করতে হলে একে অপরকে উপকার করবে। তুমি যদি বিন্দুমাত্র কারো দ্বারা উপকৃত হও তাহলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
গোমেননাসাই (দুঃখিত) - মানুষ মাত্রই ভুল করবে এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবে।

এগুলো যে শুধু মুখস্ত করে শিখানো হয় তা না। বাস্তবে শিক্ষকরা প্রো-এক্টিভলি সুযোগ পেলেই ব্যবহার করবেন এবং করিয়ে ছাড়বেন।
সমাজে এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব কত তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। এই শিক্ষাটা এবং প্রাকটিস ওরা বাল্যকাল থেকে করতে শিখে। আমাদের রাজনীতিবিদরা বাল্যকালটা যদি কোন রকমে জাপানের কিন্ডারগার্টেনে কাটিয়ে আসতে পারতেন।

কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেয়া হয়। সমাজে মানুষ হিসাবে বসবাস করার জন্য যা দরকার - নিজের বই খাতা, খেলনা, বিছানা নিজে গোছানো; টয়লেট ব্যবহার, পরিষ্কার করা; নিজের খাবার নিজে খাওয়া, প্লেট গোছানো ইত্যাদি। প্রাইমারী স্কুল থেকে এরা নিজেরা দল বেধে স্কুলে যায়। দল ঠিক করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন, বাস ট্রেনে চড়ার নিয়ম কানুন সবই শিখানো হয়। আপনার গাড়ি আছে, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসবেন, উল্টা আপনাকে লজ্জা পেয়ে আসতে হবে।

ক্লাস সেভেন থেকে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে পারবে। ক্লাসে কে ধনী, কে গরীব, কে প্রথম কে দ্বিতীয় এসব বৈষম্য যেন তৈরী না হয় তার জন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে রোল নং ১, মানে এই নয় যে একাডেমিক পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল। রোল নং তৈরী হয় নামের বানানের ক্রমানুসারে।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সমস্ত আইটেম গুলো থাকে গ্রুপ পারফরম্যান্স দেখার জন্য - ইন্ডিভিজুয়েল নয়। সারা স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভাগ করা হয় কয়েকটা টা গ্রুপে- সাদা দল, লাল দল, সবুজ দল ইত্যাদি। গ্রুপে কাজ করার ট্রেনিংটা পেয়ে যায় খেলাধুলা জাতীয় এক্টিভিটি থেকে। এই জন্যই হয়তো জাপানে বড় লিডার তৈরি হয়না কিন্তু গড়ে এরা সবার সেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে ১২ বছর শিক্ষাটা সম্ভবত ইউনিভার্সেল। আমাদেরটা হলো ৫ +৫ +২ অর্থাৎ প্রাইমারী ৫ বছর, হাইস্কুল ৫ বছর তারপর কলেজ ২ বছর। জাপানে ৬+৩+৩। শতকরা ১০০ ভাগ শিশুই ৬ বছর বয়সে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়। কারো বয়স জানতে হলে সিম্প্লি জিজ্ঞাস করুন কোন ক্লাসে পড়ে। তার সাথে ৫ যোগ করে ফেলুন।

১৮ বছর বয়সে এরা সমাজে অনেকটা প্রাপ্ত বয়স্ক-র স্ট্যাটাস পেয়ে যায়। এই স্ট্যাটাসে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে পারে। ছেলেরা বিয়ে করতে পারে (মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর)। ২০ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কে পা দেয় এবং ভোট দিতে পারে।

লেখা - আসির আহমেদ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1084355261671483&id=160797004027318

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

হোটেলের ভাড়া ও ফোন নম্বরের তালিকাঃ

একসাথে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, সাজেক ভ্যালি, কুয়াকাটা, সিলেট, নিঝুম দ্বীপ ও বিরিশিরির
হোটেলের ভাড়া ও ফোন নম্বরের তালিকাঃ

ছুটি পেলে আমাদের দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি যেসব জায়গায় ঘুরতে যায় তার প্রত্যেক জায়গার বেশ কিছু হোটেলের ভাড়া এবং ফোন নম্বর দেয়া হল, যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তারা নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন, পরে কাজে দিবে ।

বান্দরবানঃ
হোটেল হিল ভিউ: শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন: ০৩৬১-৬৩০৪৫।
পর্যটন মোটেল: ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২।
হলি ডে ইন: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
ভেনাস রিসোর্ট: ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।
হোটেল প্লাজা: ফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২।
হিলসাইড রিসোর্ট: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।
সাকুরা হিল রিসোর্ট: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
হোটেল ফোর স্টার: এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম প্রতি ভাড়া ৩০০-১২০০ টাকা। ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।
হোটেল থ্রী স্টার : এটি বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এটি ৮/১০ জন থাকার মতো ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। ফোন:- ০১৫৫৩৪২১০৮৯।

সিলেট-
১. হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪
২. হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩, ০১৭১১৩৩৬৭৬১ ৩. হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩, ০৮২১-২৮৩৩০৯১
৪. হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯
৫. হোটেল সুপ্রীম, জাফলং রোড, মিরাবাজার, সিলেট-৩১০০, মোবাইল: ০১৭১১১৯৭০১২, ফোন: ৮৮-০৮২১-৭২০৭৫১, ৮১৩১৬৯, ৮১৩১৭২, ৮১৩১৭৩, ৮১৩১৬৮
৬. হোটেল সানফ্লাওয়ার (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ফোন:৮৮-০৮২১-৭১৩৯১৪
৭. হোটেল এশিয়া (বন্দরবাজার): ০১৯২২৫৯৫৮৪১, ০১৯২২৫৯৫৮৪০
৮. সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে): ০১৭১৬০৯৫৮৩৬
৯. হোটেল সিলেট ইন (মিরবক্সটুলা): ফোন: ৮৮-০৮২১-৮১১৯৪৫
১০. হোটেল আল-আরব: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭২৪০৫৯, ০১৭২১৮১২৬৬২
১১. হোটেল উর্মি: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭১৪৫৬৩, ০১৭৩৩১৫৩৮০৫

কক্সবাজারঃ
পাঁচ তারকা বলে দাবিদার হোটেল সি-গালে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৮৭০ টাকা প্রতিরাতের জন্য কক্ষপ্রতি ভাড়া নেয়া হয়। এরা রেগুলার হিল সাইড ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা, রেগুলার সি-সাইড ৪ হাজার ০৩৫ টাকা, ডিলাক্স হিল সাইড ৯ হাজার ৫৯২ টাকা, ডিলাক্স ৯ হাজার ৮৭০ টাকা এবং স্যুইট রুম ৯ হাজার ৭৪১ টাকা ভাড়া নেয়। এদের অফ সিজনে ডিসকাউন্ট থাকে। হোটেল সি-গালের টেলিফোন নাম্বার হলো ০৩৪১-৬২৪৮০ থেকে ৬২৪৯১ পর্যন্ত।
তিন তারকা মানের হোটেল সি-প্যালেসে দু’টি ভিন্ন ক্যাটাগরির আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা আভিজাত্য বজায় রাখতে চান তাদের জন্য ক্রাউন প্লাজায় ৩ হাজার টাকায় রিগুলার রুম, ৪ হাজার টাকায় ডিলাক্স রুম, ৪ হাজার ৫০০ টাকায় সুপার ডিলাক্স ও ৫ হাজার টাকায় স্যুইটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়াও ইকোনমি রুম হিসেবে ওয়েস্টার্ন প্লাজায় নন-এসি ১ হাজার ৬০০ টাকা ও এসি রুম ২ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এদেরও অফ সিজনে ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। টেলিফোন কিংবা সরাসরি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রুম বুকিং দেয়া যায়। হোটেল সি-প্যালেসের টেলিফোন নাম্বার হলো : ০৩৪১-৬৩৬৯২, ০৩৪১-৬৩৭৯২, ০৩৪১-৬৩৭৯৪।
হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালে সর্বনিম্ন ৯৬০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭০০ টাকা রুম ভাড়া রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নন-এসি ডিলাক্স ৯৬০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার২০০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার ০২০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার ৩৮০ টাকা, এসি ডিলাক্স ১ হাজার ৩৮০ টাকা ও ১ হাজার ৭৪০ টাকা এবং স্যুইট ৩ হাজার ৭০০ টাকা। হোটেল মিডিয়ার টেলিফোন নাম্বার হলো ০৩৪১-৬২৮৮১ থেকে ৬২৮৮৫ পর্যন্ত। মোবাইল ০১৮১৯৫১৯৭১৯ ও ০১৭১১৩৪১১৬৪।
কক্সবাজার শহরে মাঝারি মানের যে হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঐতিহ্যবাহী হোটেল সায়মান (০৩৪১-৬৩৯০০), হোটেল প্যানোয়া (০৩৪১-৬৩২৮২), হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০৩৪১-৬৪৭৯৫), হোটেল কল্লোল (০৩৪১-৬৪৭৪৮), হোটেল মিশুক (টেলিফোন ০৩৪১-৬৪৩২০, ০৩৪১-৬২৮০৮), হোটেল অভিসার (০৩৪১-৬৩০৬১), হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজ (০১৭ ১১ ১৯৩১৯৬), সুগন্ধা গেস্ট হাউস, ডায়মন্ড গেস্ট হাউস (০৩৪১-৬৩৬৪২), সি-পার্ক গেস্ট হাউস (০৩৪১-৫১০৭৮), ০৩৪১-৫১০৪৫), ইউনি রিসোর্ট (০৩৪১-৬৩১৮১, ০৩৪১-৬৩১৯১), উর্মি গেস্ট হাউস, নিলয় বে রিসোর্ট (০৩৪১-৬৩৬৭৭, ০৩৪১-৬৪২৭৮), সি-হ্যাভেন গেস্ট হাউস (০৩৪১-৬৩৭৮৭), জিয়া গেস্ট ইন, সাইমম গেস্ট হাউস, হানিমুন গেস্ট হাউস, সি-আলিফ গেস্ট হাউস, হোটেল সি-হিল, তাহের ভবন অন্যতম।
এই হোটেল গেস্ট হাউসগুলোয় নির্ধারিত একটি ভাড়ার তালিকা থাকলেও পিক-সিজনে ওই তালিকার সঙ্গে ভাড়ার কোনো মিল থাকে না। যারা নির্ধারিত ভাড়ার কথা চিন্তা করে কক্সবাজারে আসবেন তারা যদি পিক-সিজনে আসেন তাহলে ‘বাজেট ফেল’ করা আশঙ্কা থেকে যাবে।
মাঝারি মানের এ হোটেলগুলোতে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকাও ভাড়া আদায় করা হয়। তাই আসার আগেই রুম ভাড়া জেনে ও অগ্রিম বুকিং দিয়ে এলে সবার জন্যই ভালো হয়।

সেন্টমার্টিনঃ
ব্লু মেরিন রিসোর্ট (ঢাকা অফিস-৯৫৫৬২৫১, ০১৭১৩৩৯৯০০০, সেন্টমার্টন-০১৭১৩৩৯৯২৫০), প্রিন্স হেভেন (০১৮৩৩৩৬০৩৩৩), সীমানা পেরিয়ে (০১৯১১১২১২৯২, ০১৮১৯০১৮০২৭), প্রাসাদ প্যারাডাইস (৮৮১৭৪০০, ৯৮৯১৯২২, ০১৫৫৬৩৪৭৭১১), কোরাল ব্লু রিসোর্ট (০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭), লাবিবা বিলাস (০১৭৪৪১৩৬১৪৫, ০১৭১৪৬৩৪৭৬২), পর্যটন হোটেল অবকাশ (০১৮৬৬৯৮৯৮৫৫,০১৮৬৬৯৮৯৮৫৬,০১৮৬৬৯৮৯৮৬০) ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে রুম ভেদে ১৫০০-৫০০০ টাকা।
এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে যার ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা।

রাঙ্গামাটি-
(১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স
১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রতিটির ভাড়াঃ ১৮০০-২০০০ টাকা
৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০০-১০০০ টাকা
ফোনঃ ০৩৫১-৬৩১২৬
(২) হোটেল সুফিয়া
২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রতিটির ভাড়াঃ ১০০০-১৫০০ টাকা।
৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭০০-৮০০ টাকা
যোগাযোগ ০৩৫১-৬২১৪৫, ৬১১৭৪, ০১৫৫৩৪০৯১৪৯
(৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল
৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রতিটির ভাড়াঃ ১২০০ হতে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত
১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭০০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত
যোগাযোগঃ ০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬
এছাড়াও রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হোটেল যেমন * হোটেল জজ * হোটেল আল মোবা * হোটেল মাউন্টেন ভিউ * হোটেল ডিগনিটি * হোটেল সাফিয়া * হোটেল ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি। এছাড়া কেউ ইচ্ছা করলে পেদা টিং টিং, টুকটুক ইকো ভিলেজেও থাকতে পারেন।

খাগড়াছড়ি:
পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ ।
গিরি থেবার : এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।
হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ ।
হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ ।
হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১ ।
হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ ।
হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।

সাজেক ভ্যালি:
সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট। যা সাজেকে অবস্থিত। যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে। ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা। অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি। খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।
রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।
আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) । যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি । প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা । যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।
রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই - ০১৮৩৮৪৯৭৬১২। লক্ষন - ০১৮৬০১০৩৪০২।

কুয়াকাটা-
সবচেয়ে ভালো আবাসন ব্যবস্থা পর্যটন করপোরেশনের ইয়ুথ ইন কুয়াকাটা (০৪৪২৮-৫৬২০৭)। এ হোটেলে ১ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিভিন্ন মানের কক্ষ আছে।
এছাড়া এখানে পর্যটন করপোরেশনের অন্য একটি হোটেল হল পর্যটন হলিডে হোম (০৪৪২৮-৫৬০০৪)। এ হোটেলে ৮শ’ ২ হাজার ১শ’ টাকায় কক্ষ আছে। দুটি হোটেলেরই বুকিং দেওয়া যাবে ঢাকায় পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকে। যোগাযোগ ০২-৮৮১১১০৯, ০২-৯৮৯৯২৮৮।
এছাড়া কুয়াকাটায় অন্যান্য ভালো মানের হোটেল হল হোটেল বনানী প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০৪২), হোটেল কুয়াকাট ইন (০৪৪২৮-৫৬০৩১), হোটেল নীলাঞ্জনা (০৪৪২৮-৫৬০১৭), হোটেল গোল্ডেন প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০০৫) ইত্যাদি। এসব হোটেলে ৬শ’ থেকে ২ হাজার

নিঝুম দ্বীপ-
থাকার জন্য আদর্শ স্থান ‘নামার বাজার’। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই মূল বনে ঢুকতে পারবেন। এছাড়া এই এলাকাটি দক্ষিণ প্রান্তে হওয়ায় আপনি সাগরের কাছাকাছি থাকতে পারবেন।
থাকার জন্য নামার বাজারের উত্তরে রয়েছে অবকাশ পর্যটনের ‘নিঝুম রির্সোট’ । এখানে ২ শয্যার কক্ষ ভাড়া ১০০০ টাকা, ৩শয্যার কক্ষ ১২০০ টাকা, ৪ শয্যার কক্ষ ১৮০০ টাকা, ৫ শয্যার ডরমিটরির ভাড়া১০০০ টাকা, ১২ শয্যার ডরমিটরি ২৪০০ টাকা। ঢাকা থেকে এ রিসোর্টের বুকিং দেয়াযায়। যোগাযোগঃ অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, শামসুদ্দিন ম্যানশন, ১০ম তলা, ১৭ নিউইস্কাটন, ঢাকা। ফোন- ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ০১৫৫২৪২০৬০২।
এছাড়া, ‘মসজিদ বোডিং’। বাজারের উত্তর প্রান্তে মসজিদ বোডিংএ থাকলে ভাড়া পড়বে মাত্র ৬০-৮০ টাকা জন প্রতি। এখানে রুমগুলো পরিপাটিএবং সুন্দর। রয়েছে গোসলের সুব্যবস্থা। আর মসজিদের ইমামের অনুমতি নিয়ে কম দামে সুস্বাদু ডাব খেতে পারবেন।
তাছাড়া বন বিভাগেরবাংলো, জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলো, রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টারেওথাকার ব্যবস্থা করা যায়। তবে এগুলোর জন্য পূর্বেই অনুমতি নিতে হয়।

বিরিশিরি-
থাকার ব্যবস্থা খুবই ভালো – সর্বজন পরিচিত YMCA এবং YWCA নামক দুটি রেস্ট হাউজ আছে, যেখানে আরাম করে থাকা যাবে। YWCA এর জন্য ‘অমিতা সাংমা – ০১৭১২০৪২৯১৬’ এবং YMCA এর জন্য সলিল চাম্বু গং – 01731039769 / 01916622684 – কে ফোন দিতে পারেন। YWCA te সাধারণ রুম পড়বে ৬০০ টাকা (২ বেড) আর VIP রুম এর হিসাব জানিনা (থাকিনাই), এচাড়াও অদের বিরাট একটা হলরুম আছে যেখানে একসাথে ১৮ জন থাকতে পারবে, সেক্ষেত্রে পার বেডে খরচ পড়বে ২০০ টাকা করে। YWCA এর ছাদটা সবচাইতে সুন্দর, সেখান থেকে পূর্ণিমা দেখতে অসাধারণ লাগে।

টিপসঃ
ঈদের ছুটিতে বাঁ অন্য কোন সরকারী বন্ধের দিন ঘুরতে গেলে আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে গেলে ভাল, তাইলে পরে আর ঝামেলায় পড়তে হয়না । আর হ্যাঁ, অফ সিজনে বা বন্ধের দিন বাদে অন্যদিন গেলে হোটেল আগে থেকে বুকিং না দিলেই আপনি লাভবান হবেন ।
ভ্রমণে গিয়ে যে কোন ধরণের বিপদে পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন, এদের ২৪ ঘন্টা হটলাইন নম্বর- ০১৭৬৯৬৯০৭৪০
(সিজন ভেদে ভাড়া কম বেশি হতে পারে)
source:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1744901145767788&id=1678546545736582

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে লিওনেল মেসির বিদায়ে যার যা প্রতিক্রিয়া

শেখ হাসিনা :
এই জাতি জানে— চক্রান্ত করে একুশ বছর ধরে আওয়ামি লিগকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তি। জনগণ সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আওয়ামি লিগকে আবার ক্ষমতায় এনেছে। আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট, আমার কাছে তথ্য আছে— বিএনপি-জামায়াত চক্রই ষড়যন্ত্র করে আর্জেন্টিনাকে ত্রিশ বছর ধরে বিশ্বকাপ-ট্রফি থেকে বঞ্চিত রেখেছে। আর্জেন্টিনার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রও, ইনশাআল্লাহ, আমরা মোকাবেলা করব। নোবেল-ব্যবসায়ী যে সুদখোরটা বিশ্বব্যাংককে কান-পড়া দিয়ে পদ্মাসেতুর নির্মাণ ব্যাহত করতে চেয়েছিল, জাতি জানে, সেই সুদখোরটির চক্রান্তেই মেসি বাধ্য হয়ে দল ছেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় ফুটবলার রপ্তানি করে ২০৪১ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনাকে আবারও আমরা বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেবো।

আনিসুল হক :
রংপুর থেকে প্রথম যে বছর আমি ঢাকায় আসি, সেই বছরের ঘটনা। বুয়েটের হোস্টেলে ঘুমোনোর সময়ে এক রাতে স্বপ্নে দেখি আর্জেন্টিনায় ফুটফুটে একটা বাচ্চা হয়েছে, বাচ্চাটার বাবা আমাকে বলছে, 'আপনি তো বিশ্বসেরা একজন কথাশিল্পী। আমার বাচ্চাটার একটা নাম ঠিক করে দিন না, দাদা।' কথাটা শোনার পর আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললাম, স্বপ্নের মধ্যেই আমি এগারো মিনিট কাঁদলাম। ভেবে অবাক হলাম— আর্জেন্টিনার লোকও আমার বই পড়ে! লোকটাকে কাঁদতে-কাঁদতে বললাম, 'ভাই, আমার ডাকনাম ম দিয়ে— মিটুন। আপনার ছেলের নামও ম দিয়ে রাখুন— মেসি।' এর পর কেটে গেল অনেক বছর। হঠাৎ একদিন দেখি সেই মেসি আর্জেন্টিনা ফুটবল দলে খেলছে, বাকি ইতিহাস তো সবার জানা।

অভিমান করে মেসি ছেলেটা নাকি জাতীয় দল ছেড়ে দিয়েছে। শুনেই আমি ওকে ফোন করে প্রচুর কেঁদেছি। আমি নিশ্চিত— আমার কান্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পাগলটা অবসর ভেঙে দলে ফিরে আসবে।

মুসা যেভাবে এভারেস্ট ছুঁয়েছে, মেসিও সেভাবে নিজেকে নিয়ে গেছে এভারেস্ট-সম উচ্চতায়। মুসা, মেসি, আমি প্রায়ই লিটনের ফ্ল্যাটে চা-চু খাই। দেশে এলে মেসি ছেলেটা আমার অটোগ্রাফ নিয়ে যায়, বউয়ের জন্য আমার বই কিনে যায়। এসব দেখে আমি ভেউভেউ করে কেঁদে ফেলি। ও এই তো সেদিন আমার 'মা' বইটা ৩০% ছাড়ে প্রথমা থেকে কিনে নিয়ে গেল। ভাবতে ভালো লাগে মুসা, মেসি, মিটুন, মা— চারটা শব্দেরই শুরু ম দিয়ে!

খালেদা জিয়া :
অ্যাই সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার, অ্যাই সরকার মেসিবাদী সরকার। দেশ চালাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও ইনারা অবৈধভাবে গদি দখল করে আছে। ট্রফি পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরও আওয়ামি লিগের মদদে আর্জেন্টিনার ঐ মেসি দলের অধিনায়কত্ব আকড়ে ধরে রেখেছিল। লন্ডনপ্রবাসী ইতিহাস ইঞ্জিনিয়ার তারেক রহমান আন্দোলন করে ব্রিটেনকে ইইউ থেকে হটিয়ে দিয়েছে, মেসিকে হটিয়েছে দল থেকে। ইদের পর আন্দোলন করে আমরা আর্জেন্টিনার প্রধানমন্ত্রীরও পতন ঘটাব এনশাআল্লাহ। ক্ষমতায় গেলে আর্জেন্টিনার নামই আমরা পালটে দেবো এবং তারেকের নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার স্বাধীনতা ঘোষণা করব। ভারতের হিন্দু কবি রবীন্দ্রনাথ ফুটবল নিয়ে কবিতা লিখেছে, সে বলেছে— বল দাও মোরে, বল দাও; প্রাণে দাও মোর শকতি; সকল হৃদয় লুটায়ে তোমারে করিতে প্রণতি। অতএব ফুটবল একটি হিন্দুয়ানি খেলা। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই হিন্দুয়ানি ফুটবল খেলা পৃথিবী থেকে নিষিদ্ধ করব এবং লীলাখেলাকে জাতীয় খেলা ঘোষণা করব।

তসলিমা নাসরিন :
সেই মেয়েবেলা থেকেই আমি ফুটবলের বেশ ভক্ত। কৈশোর পেরিয়ে যখন আমি যৌবনে পদার্পণ করেছি, যখন আমার মৌচাকে প্রণয়ের মৌমাছি বাসা বাঁধা শুরু করেছে, শরীরে বওয়া শুরু করেছে বেয়াড়া বাতাস; তখন আমি পাড়ার এক ফুটবলারের প্রেমে পড়ি এবং ফুটবলারটি যথারীতি আমার সবটুকু মৌ শুষে খেয়ে থাবা মারে অন্য কারো চাকে। সেই থেকেই আমি জানি— নোংরা পুরুষজাতি মন চেনে না, চেনে খালি মৌ আর মাংস।

যেবার আমি প্রথমবার বুয়েন্সআয়ার্সে গেলাম, ম্যারাডোনা এলো আমার অটোগ্রাফ নিতে। লজ্জা বইটা পড়ে ও আমার ভক্ত হয়েছে। যতক্ষণ অটোগ্রাফ দিচ্ছিলাম, খেয়াল করে দেখলাম ও আমার বুকের দিকে তাকিয়ে আছে। পুরুষজাত— বুক ছাড়া আর কী বা চিনবে! এভাবে কত পুরুষ আমার বুকের দিকে তাকিয়েছে, ইয়ত্তা নেই। এর পর ম্যারাডোনা আমাকে ডিনারের অফার দিলো, আগ্রহবশত গেলামও। যেভাবে পর্তুগালে রোনালদো আমার পিঠে হাত দিয়েছিল, লন্ডনে যেভাবে আমাকে জাপটে ধরার চেষ্টা করেছিল বেকহাম; ম্যারাডোনাও ঠিক সেভাবেই ডিনারে নিয়ে আমাকে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। কোনোভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে এসেছি সেদিন। ফুটবলারগুলো টাকার কুমির হতে পেরেছে, মানুষ হতে পারেনি। আমাকে দেখলেই ফুটবলারগুলো কেন যেন বেজন্মা হয়ে যায়!

মেসি নামক এক ফুটবলার নাকি অবসর নিয়েছে। তো কী হয়েছে? কেন এত মাতামাতি তাকে নিয়ে? সে পুরুষ বলেই তাকে নিয়ে এত হৈচৈ। কই, কোনো নারী ফুটবলারকে নিয়ে এত হৈচৈ হয় না! এই যে আমি এত খেটেখুটে ৪৩টা বই লিখলাম, আমাকে নিয়ে পৃথিবীতে কোনো মাতামাতি নেই; যত মাতামাতি ঐ খাটো-বেটে-নপুংসক মেসিকে নিয়ে! এই পৃথিবী পুরুষের না হয়ে মানুষের হবে; যদি একটা টিমের ১১জনের ৫জন হয় পুরুষ, ৬জন হয় নারী।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ :
কে এই মেসি? হু ইজ হি? তোমরা শেষ কবে দুধ দিয়ে গোসল করেছ? আর্জেন্টিনা শেষ কবে ট্রফি জিতেছে? সেই ১৯৮৬ সালে, যখন আমি ক্ষমতায়। আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে চাইলে তোমরা আমাকে আবার ভোট দাও। আমি আসল প্লেয়ার, মেসি না। মেসি পারবে না আর্জেন্টিনার বন্ধ্যাত্ব ঘোঁচাতে, পারব শুধু আমি। ও মাঠের প্লেয়ার, আমি খাটের প্লেয়ার। অভিমান করে সে দল থেকেই আউট হয়ে যায়, আমি অত সহজে আউট হই না। ও তো শুধু স্ট্রাইকার। আমি স্ট্রাইকারও, গোলকিপারও। আমি যেভাবে বল ধরি; মেসি সেভাবে পারে না, না, না। মেসি নাকি সারা জীবনে পাঁচটা ব্যালন ডি'অর জিতেছে। আমি তো প্রতি রাতেই পনেরোটা বেলুন ডি'অর জিতি! জিতি কি না— বিশ্বাস না হলে তোমরা শাকিলা জাফরকে জিজ্ঞেস করো, জিনাত মোশাররফকে জিজ্ঞেস করো।

শেখ হাসিনা আমাকে প্রেসিডেন্ট বানানোর লোভ দেখিয়েও বানায়নি, আজকে থেকে আমি চৌদ্দ দলে নাই। কোনো আসল পুরুষ চৌদ্দ দলে থাকতে পারে না। আগামী বছর আমি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করব। নির্বাচিত না হলে আমি আত্মহত্যা করব, তখন তোমরা আমার বলে থুথু দিয়ো।

সংগৃহিতঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1193696017328487&id=100000643000330