বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

বিজ্ঞাপনের (অপ)শক্তি

গাছের আম যে খুঁজে সে বোকা, প্লাস্টিকের বোতলেই আম পাওয়া যায় যেখানে। গাছ থেকে খাওয়ার দিন শেষ। সব তৈরী করে এনে দিচ্ছে বলছে।

অথচ ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক না হলে তা ক্যান্সার এর কারন। সেটার দামও অনেক।

আর ফলের রস বলে যা বিক্রি করছে, তা মোটেও ফল নয়। পাল্প, ফুড কালার, ফুড ফ্লেভার, কিছু প্রিজারভেটিভ।

পটেটো চিপসে কোন আলু থাকেনা।

নির্দিষ্ট কোম্পানির ঢেউটিন ব্যবহার না করলে ব ওকার ক অাকার = বোকা।

ক্রিম ব্যবহারে রং ফর্মা হয়। সেটা আবার ইউরোপ, আমেরিকার ক্রিমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জিতেছে দাবি।

আফ্রিকার লোকেরা কি ফর্সা হবে? ফরসা হওয়াটা জরুরী কেন? অথচ ফর্সা মানুষের চামড়ার ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কালো মানুষের তুলনায় বেশী।

কত হাজার পদের ক্রিম যে কিনায়। কোনটা ক্লিনসার, কোনটা চামড়ার উজ্জলতা বাড়ায়, কোনটা মসৃনতা, কোনটা বয়স কমায়, কোনটা অয়লি ভাব দূর করে, কোনটা রোদ থেকে বাঁচায়, কোনটা পুরুষদের জন্য, তাদের ম্যানলি ভাব আনে, ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি

শুরু হয়েছিল একথা বলে, কি সব ছাইপাশ, কয়লা দিয়ে দাঁত মাজেন। অসাস্থ্যকর। আমাদের কোম্পানির টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এখন বলছে টুথপেস্ট এ চারকোল (কয়লা), লবন এসব আছে। কিনুন সুস্থ্য দাঁতের জন্য।

এনার্জি ড্রিংকস না খেলেতো কোন কাজই করা অসম্ভব। কিছু ড্রিংকসের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের ক্ষমতা আবার গবেষনাও প্রমানিত। কে গবেষনা করেছে তা জানানো হয়না। কিছু এনার্জি ড্রিংকস এ সরাসরি এলকোহল মিশানো হয়।

আর শ্যাম্পু ব্যবহার না করে মুখে ঢেলে গিলে ফেললে মনে হয় ফল বেশী। এতসব পুষ্টিকর উপাদান থাকে। অথচ সমাজের যে অংশ শ্যাম্পু ব্যবহার করে তাদেরই চুলে কোন সমস্যা থাকেনা, টাক হয়না।

সাবান যে কত পদের আছে, কত উপকার, তার সীমা নেই।

ওরা এমনভাবে, এমন ভাষায় পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে যে সেই পণ্য ব্যবহার না করলে জীবনই বৃথা।

কোন মন্তব্য নেই: