নিজের সুখের দায়িত্ব
নিজেকেই নিতে হবেঃ
অন্যরা আমাকে সুখী করবে
এমন আশা করা ভুল। আপনার সন্তান, জীবনসঙ্গী, বড় বাড়ি বা গাড়ি কেউই আপনাকে সুখী করতে
পারবেনা। সে দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। নিজের হৃদয়কে স্বাধীনভাবে উপভোগ করুন - জীবন,
লোকজন, অর্থ বা এজাতীয় বস্তু দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে। শান্তি ও আনন্দ আপনার হৃদয়ে
- বাহ্যিক কোন বস্তুতে নয়।
নিজের গল্পকে বদলে
দিনঃ
নিজেকে নিয়ে বলা গল্পগুলো
বদলে দিন - কে আপনি, আপনার জীবনে কি ঘটেছিল, জীবনকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চান। পান্ডুলিপিটা
আপনার, আপনিই গল্পটা বদলে দিন।
যাত্রাপথটা উপভোগ
করুন, গন্তব্য নয়ঃ
আমরা অনেকেই আমাদের সুখটাকে
দীর্ঘায়িত করি এসব বলে - আমি জীবনের এই পর্যায়ে পৌছালে, বা সন্তানের বাবা হলে, বা বিয়ে
করলে, সুখী হব। এত দেরী কেন? এখন নয় কেন? সম্পূর্ণ যাত্রাটাই উপভোগ করি না কেন? শেষ
সীমায় গিয়ে কেন? আমি নিজের মনোযোগ নিজেই চাই। আপনি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে না করলে,
কেউই তা করবে না।
সম্পর্কগুলোকে
গুরুত্ব দিনঃ
সবকিছুই
সম্পর্কনির্ভর। স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক - খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ যতক্ষণ আপনি
জানেন অন্য কেউ আপনার জীবনের দায়ভার নিয়েছে ততক্ষণ আপনার দায়িত্ব অনেক কমে গেল। নিজের
সাথে নিজের সম্পর্ক ও উপভোগ করুন। কারণ, আপনি নিজেকে নিজে পছন্দ না করলে, অন্য কারো
পক্ষে আপনাকে পছন্দ করা কঠিন।
কাজ ও বিনোদনের
সমন্বয় করাঃ
আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম
করেন, চেষ্টা করুন কিছু বিনোদনের মাধ্যমে তার সাথে সমন্বয় করতে। আবার যদি আপনার জীবনে
বিনোদন বেশী এবং কাজ কম হয়, আপনি আকর্ষনীয় কিন্তু ক্ষুধার্ত ব্যক্তি হবেন। সন্তানের
সাথেও সমন্বয় করতে হবে। বাড়ি সবসময় পুলিশ হয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে মজার লোক হয়ে যান।
প্রতিদিনের সবকিছু গুরুগম্ভীর হতে পারেনা। আমরা নিজেদের প্রতি অপ্রয়োজনে বেশী চাপ নিয়ে
নিচ্ছি। এজন্য আমাদের সৃষ্টি করা হয়নি।(সংগৃহীত ও অনুদিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন